উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামের নদ-নদীগুলোর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত তিন দিনে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদীর পানি বেড়েছে। এর মধ্যে দুধকুমার নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচে এবং তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বাড়তে শুরু করায় জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ডুবে যাচ্ছে ফসলি জমি। একই সঙ্গে নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
নাগেশ্বরী উপজেলার দুধকুমার নদীর অববাহিকার বিভিন্ন চরাঞ্চল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। ফান্দের চর, নুচনি, ধাউরারকুটি চরসহ কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পানির স্তর দ্রুত বেড়েছে। কৃষকরা বলছেন, ধান ও পাটক্ষেত তলিয়ে যাচ্ছে, বাড়িঘরে পানি ঢোকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের দক্ষিণ চর গোরকমণ্ডপ এলাকায় ধরলা নদীর ভাঙনে ইতোমধ্যে ১৫টি বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
রাজাহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, বৃষ্টি আগামীকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর থেকে ধীরে ধীরে কমবে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আবৃদুল মতিন বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার মজুত ও স্বেচ্ছাসেবক দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, জেলার ৩৩টি পয়েন্টে আড়াইশো বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ চলছে।
