নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৮০৯ কর্মকর্তা-কর্মচারী চার দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনে অংশ নেওয়া সহকর্মীদের সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে গণ ছুটি ঘোষণা করেছেন। এতে জেলার ১২টি উপজেলা ও সুনামগঞ্জের দুটি উপজেলায় বিদ্যুৎসেবা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ এলাকায় সমিতির গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) তিনজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্তের পর এ গণ ছুটির ঘোষণা আসে। এর আগে আরও একজনকে একই কারণে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ফলে মোট চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত হয়েছেন।
আন্দোলনকারীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে সিস্টেম সংস্কার, আরইবির (বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড) শোষণ-নিপীড়ন বন্ধ ও নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার থেকে মুক্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তারা। কিন্তু দাবি মেনে নেওয়ার পরিবর্তে চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে আরিফ আকাশ বলেন, “আমাদের দাবি উপেক্ষা করে উল্টো সহকর্মীদের বরখাস্ত করা হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা গণ ছুটি ঘোষণা করেছি। এখন থেকে বিদ্যুৎসেবায় কোনো সমস্যা হলে তার দায়ভার আরইবি ও নেত্রকোনা সমিতির জেনারেল ম্যানেজারকে নিতে হবে।”
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থল ত্যাগ করায় নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদর দপ্তর কার্যত ফাঁকা হয়ে গেছে। বন্ধ রয়েছে অভিযোগ গ্রহণ, বিল পরিশোধসহ সব জরুরি কার্যক্রম। তবে প্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার ও সেনাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন আছেন।
এ বিষয়ে জানতে জেনারেল ম্যানেজার মো. আকরাম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি, আর মোবাইল ফোনেও তিনি সাড়া দেননি।
উল্লেখ্য, নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় ২০টি সাবস্টেশন, ২৬টি অভিযোগ কেন্দ্র ও ১২টি জোনাল ও সাবজোনাল কার্যালয় রয়েছে। বর্তমানে সবগুলোতেই কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি শূন্য।
