ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বিএনপির আনন্দমিছিলে দুই যুবকের কথা-কাটাকাটির ঘটনা উভয় গ্রামে সংঘর্ষের রূপ নেয়। এতে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ বুধবার বিকেল পাঁচটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত হাসপাতাল মোড় এলাকায় চলে।
স্থানীয়দের দাবি, উচালিয়াপাড়া ও সৈয়দটুলা গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল ও দা ব্যবহার করে সংঘর্ষে জড়ান। অন্তত ১০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে যৌথ বাহিনী পাঁচজনকে আটক করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিছুল ইসলাম ঠাকুর ও সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লস্করের নেতৃত্বে আনন্দমিছিল বের করা হয়। এর মধ্যে মোশারফ হোসেনের (৩৫) সঙ্গে উচালিয়াপাড়া গ্রামের এক যুবকের ঝগড়া শুরু হয়। পরিস্থিতি দ্রুত বড় হয়ে পড়ে।
সংঘর্ষের কারণে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই ও সরাইল-অরুয়াইল সড়কে যান চলাচল দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে। দুটি বাজারও সংঘর্ষের প্রভাবে বিকেলে বন্ধ রাখা হয়।
বিএনপির নেতা নুরুজ্জামান লস্কর অভিযোগ করেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলকে বাধা দিতে মোশারফ হোসেনের ওপর হামলা করা হয়েছে। এটি আওয়ামী দলের দোসরদের কাজ। আমরা তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
