পুজোর আগে শেষ রবিবারে জেলা শহরগুলির বাজারে ক্রেতাদের ঢল নামে। কয়েক দিন আগেও ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছিলেন, বাজার জমেনি। তবে রবিবার সেই আক্ষেপ অনেকটাই কেটে গেছে। জামাকাপড় থেকে শুরু করে জুতো, প্রসাধনী— সব দোকানেই ছিল ভালো ভিড়।
দুর্গাপুরের বেনাচিতি, মামড়া, স্টেশন বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পর ক্রেতাদের ভিড় আরও বেড়ে যায়। শপিংমলেও কেনাকাটার ব্যস্ততা ছিল চোখে পড়ার মতো। কলেজছাত্রী সমর্পিতা রায় ও বর্ষা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুজো মানেই শুধু জামাকাপড় নয়, আনুষঙ্গিক সামগ্রীও দরকার। তাই কিনতে এসেছি।’’
বেনাচিতি বাজারের ব্যবসায়ী সুকুমার দাস জানান, ‘‘দুপুরের পর থেকেই ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। সন্ধ্যায় তা আরও জমে ওঠে।’’ কাপড় ব্যবসায়ী সোমনাথ ঘাঁটি বলেন, ‘‘শাড়ি, কুর্তি, পাঞ্জাবি ও টি-শার্টের চাহিদা এ বছর বেশি।’’ আসানসোলের বাজারেও একই চিত্র দেখা গেছে।
তবে অনেক ব্যবসায়ীর মতে, অনলাইন শপিংয়ের কারণে বিক্রি আগের মতো হচ্ছে না। জুতোর দোকানদার গুরবিন্দর সিংহের দাবি, ‘‘বাজারে ক্রেতা এলেও কেনাকাটা কম হচ্ছে। অনলাইনে মানুষ নানা ছাড় পাচ্ছেন, ফলে আমাদের মতো ছোট ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’’
অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, সময় বাঁচাতে ও আকর্ষণীয় অফার পেতে অনলাইন কেনাকাটা এখন জরুরি হয়ে উঠেছে। ক্রেত্রী সুইটি মাজি জানান, ‘‘বাজারে এসে কিছু কিনেছি, আবার অনলাইনেও কিছু পোশাক ও সাজসজ্জার সামগ্রী নিয়েছি।’’
