মানবসভ্যতার ইতিহাসে এক নতুন ধরনের দ্বন্দ্বের সূচনা—মানব মস্তিষ্ক বনাম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। প্রযুক্তি দিনদিন এগোচ্ছে, কিন্তু মানুষের আবেগ, চিন্তা ও সৃজনশীলতাকে এখনও পুরোপুরি ছাপিয়ে উঠতে পারেনি। এই প্রেক্ষাপটে টলিউডের নৃত্য প্রশিক্ষক ও ভিজ্যুয়াল এফেক্ট শিল্পী সৌরভ দাসের নতুন মহালয়া প্রজেক্ট ‘শক্তি’ দর্শকদের কাছে অনন্য অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে।
সৌরভ জানান, ‘‘মহালয়া মানেই আবেগ, নস্টালজিয়া। ভোরে মানুষ বিশেষ কিছু দেখার জন্য অপেক্ষা করে। সেই আবেগকে প্রযুক্তির সাহায্যে আন্তর্জাতিক মাত্রায় নিয়ে যেতে চাই।’’ তাঁর আগে পরিচালিত ‘কোহিনুর’ চলচ্চিত্রটি টলিউডের প্রথম ভিএফএক্সস চলচ্চিত্র হিসেবে নজর কেড়েছিল। এবার প্রযুক্তি, ভিজ্যুয়াল এফেক্ট ও মোশন-এর সমন্বয়ে মহালয়াকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
অভিনয়ে অংশ নিয়েছেন সৌরভের ছাত্র-ছাত্রীরা। বিশেষভাবে, দুর্গার মুখ ফুটে উঠেছে অদ্বিতীয়া মুখোপাধ্যায় নামে এক ছাত্রীর মুখাবয়ব দিয়ে। এভাবেই যন্ত্র ও মানুষের মন একত্রে মিলিত হয়েছে।
পরিচালক সৌরভ দাস এবং প্রযোজক সৌমি দত্ত রায়ের আশা, নতুন প্রজন্মের আবেগ, প্রযুক্তি ও নস্টালজিয়ার মিলন দর্শকদের মন ছুঁয়ে যাবে এবং ‘শক্তি’ আন্তর্জাতিক মানেও পৌঁছাবে। ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে টিজার ও ট্রেলার।
