ষষ্ঠী ও সপ্তমীর দিন বৃষ্টিহীন থেকে স্বস্তিতে কাটাল কলকাতাবাসী। কিন্তু অষ্টমীর দুপুর নামতেই সেই স্বস্তিতে ভাঙন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পর থেকেই শহরের বিস্তীর্ণ অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই বর্ষণ অন্তত ২ থেকে ৩ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। বিশেষ করে দক্ষিণ কলকাতায় বৃষ্টিপাত তুলনামূলক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পাঁচ জেলায় বৃষ্টি, সতর্কতা জারি
অষ্টমীর দিন কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের আরও পাঁচ জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। সেগুলি হলো—
- পূর্ব বর্ধমান
- হুগলি
- পুরুলিয়া
- মুর্শিদাবাদ
- পূর্ব মেদিনীপুর
আবহাওয়া দফতর এই পাঁচ জেলার জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। কলকাতা ও আশপাশের এলাকাতেও বজ্রসহ বৃষ্টির সময় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানানো হয়েছে। তবে মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই।
আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত, নবমী থেকে বাড়বে ঝড়বৃষ্টি
অষ্টমীর দিনেই উত্তর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের মতে, নবমীর মধ্যে সেটি নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হবে। এর প্রভাবে নবমী থেকে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দশমীর দিন দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে।
- ভারী বৃষ্টি হতে পারে: কলকাতা, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায়।
- অতি ভারী বৃষ্টি (৭–২০ সেমি) হওয়ার আশঙ্কা: উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি ও পূর্ব মেদিনীপুরে। এই চার জেলার জন্য জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা।
বাকি জেলাগুলিতেও বজ্রসহ বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
পুজোয় দর্শনার্থীদের করণীয়
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবারও দক্ষিণবঙ্গের অনেক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি চলতে পারে। তবে রবিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন—
- মণ্ডপে ভিড় এড়িয়ে চলা ও সঙ্গে ছাতা রাখা।
- বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠ বা উঁচু স্থানে না দাঁড়ানো।
- জল জমা এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটির আশপাশ এড়িয়ে চলা।
