শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষষ্ঠীর দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর নিয়মিত কর্মসূচি ‘মন কী বাত’-এ বক্তৃতা দিতে গিয়ে কলকাতার দুর্গাপূজোর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ভারত সরকারের প্রচেষ্টাতেই এ উৎসবকে ইউনেস্কো ‘বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’-এর মর্যাদা দিয়েছে।
রোববার সম্প্রচারিত ১২৬তম ‘মন কী বাত’ পর্বে প্রধানমন্ত্রী বলেন,
“কিছুকাল আগে ভারত সরকারের প্রয়াসের কারণেই কলকাতার দুর্গাপূজো বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।”
কেন্দ্র বনাম রাজ্য: কৃতিত্বের দাবি নিয়ে বিতর্ক
কলকাতার দুর্গাপূজো ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকেই এ কৃতিত্ব কার— কেন্দ্র না রাজ্য— তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার দাবি করেছে, তাদের উদ্যোগেই এ স্বীকৃতি এসেছে। তবে রবিবার মোদীর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারই পুরো কৃতিত্ব নিতে চাইছে। পুজোর আবহে এই মন্তব্য আলাদা রাজনৈতিক গুরুত্ব পেয়েছে বলে পর্যবেক্ষকদের মত।
ছটপূজা ও নতুন ঐতিহ্যের স্বপ্ন
প্রধানমন্ত্রী ভাষণে আরও উল্লেখ করেন, ছটপূজা এখন শুধু ভারতে নয়, বিশ্বজুড়েই পালিত হচ্ছে। তাই একে ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সরকার চেষ্টা করছে।
আরএসএসের শতবর্ষ উদ্যাপন প্রসঙ্গ
ভাষণে প্রধানমন্ত্রী প্রায় আড়াই মিনিট সময় দেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) শতবর্ষ প্রসঙ্গে। তিনি বলেন,
“এই বিজয়া দশমীতে আরএসএস প্রতিষ্ঠার ১০০ বছর পূর্ণ হবে। এই যাত্রা যেমন অভূতপূর্ব, তেমনই প্রেরণাদায়ী।”
হেডগেওয়ারের লক্ষ্য, গোলওয়ালকরের নেতৃত্ব এবং সংঘের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা স্মরণ করেন তিনি।
জুবিন গার্গকে স্মরণ
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে অসমের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের আকস্মিক মৃত্যুর প্রসঙ্গও। মোদী তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেন এবং তাঁর গানকে ভারতীয় সংগীতের অনন্য অবদান হিসেবে অভিহিত করেন।
দেশি পণ্যে উৎসাহ, খাদি কেনার আহ্বান
ভাষণে বারবার শোনা যায় ‘ভোকাল ফর লোকাল’ বা দেশি পণ্যের প্রতি সমর্থন। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে স্থানীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানান এবং জানান, আসন্ন ২ অক্টোবর গান্ধীজয়ন্তীতে প্রত্যেক দেশবাসীকে অন্তত একটি খাদি সামগ্রী কেনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
উৎসবের মৌসুমে জিএসটি ছাড়ের সুবিধা নিয়ে দেশি পণ্য কেনাকাটারও পরামর্শ দেন মোদী।
