মাত্র সাত বছর বয়সে প্রথম পুজোর গানের রেকর্ড— সলিল চৌধুরীর লেখা ও সুরে ‘বুলবুল পাখি ময়না, টিয়ে’। সেই অন্তরা চৌধুরী আজ অভিজ্ঞ গায়িকা। দীর্ঘ সময় পরে ফের পুজোর গান গাইলেন তিনি— সুদীপ্ত চন্দের লেখা ও সুরে ‘দূর অজানায়’। গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন প্রয়াত সুধীন দাশগুপ্তের ছেলে সৌম্য দাশগুপ্ত, যিনি এই গানের মাধ্যমেই সংগীতজগতে পা রাখলেন।
সম্প্রতি আনন্দবাজার ডট কম-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অন্তরা জানালেন, আগের দিনের মতো এখন আর পুজোর গান হয় না। তাঁর আক্ষেপ, “আগে মানুষ গান শুনতেন, এখন গান দেখেন। আগে রেকর্ড বের হত, এখন মিউজিক ভিডিওর ভিড়।”
অন্তরার মতে, এখন শিল্পীদের লড়াই আরও কঠিন। অতীতে রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানের ডাক আসত, প্রচারও করত সংস্থাই। আর এখন শিল্পীরা নিজেরাই গান রেকর্ড করে ইউটিউবে প্রকাশ করছেন। ফলে, “প্রায় সবাই গাইতে পারছেন। গানের ভিড়ে ভালো কাজ হারিয়ে যাচ্ছে। একটি গান দিয়েই খ্যাতি পাওয়ার সুযোগও নেই।”
অর্থনৈতিক দিকেও এসেছে পরিবর্তন। আগে রেকর্ড বা ক্যাসেট বিক্রি থেকে শিল্পী আয় করতেন। এখন সেই সবই বিনামূল্য— দর্শকসংখ্যা আর ইউটিউব ভিউ-ই সাফল্যের মাপকাঠি। ফলে শিল্পীদের আয় নির্ভর করছে মঞ্চানুষ্ঠানের উপর।
বাংলা গানের ভাষাতেও পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন অন্তরা। তাঁর আফসোস, “নতুন প্রজন্ম পাশ্চাত্যমুখী। পশ্চিমা প্রভাবেই বাংলা গান গাইছে, এমনকি উচ্চারণেও সেই প্রভাব ফুটে উঠছে। সঠিক বাংলা উচ্চারণও আজকাল শোনা যায় না।”


সত্যের সন্ধানে আমরা — NRD News Media Limited