কলকাতার টোয়িং সংস্থাগুলোর ফোন এখন কার্যত বন্ধ হওয়ার নাম নেই। সোমবার রাতের ভারী বৃষ্টির পর থেকে রাস্তায়-রাস্তায় কিংবা পার্কিংয়ে ডুবে থাকা গাড়ি উদ্ধারের জন্য মালিকদের ফোনে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
টোয়িং সংস্থার কেউ বলছেন দিনে পাঁচ-ছ’শো, কেউ বা দাবি করছেন এক হাজারেরও বেশি ফোন এসেছে। ফলে পরিষেবা দিতে গিয়ে কার্যত দিশাহারা অবস্থা। কলকাতা সংলগ্ন বরাহনগরের এক সংস্থার মালিক রাজীব মণ্ডল জানান, “ভোর থেকে সার্ভিস শুরু করেছি। কিন্তু এত ফোন আসছে যে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।”
দমদম ও বেলেঘাটার টোয়িং মালিক অভিষেক শর্মা বলেন, সোমবার রাত থেকে পাঁচ-ছ’শো ফোন পেয়েছেন। তবে এই দুর্যোগে আয়ও বেড়েছে কয়েক গুণ। আগে দিনে যেখানে চার-পাঁচ হাজার টাকা আয় হতো, এখন তা দাঁড়িয়েছে ২৫-৩০ হাজার টাকায়।
টোয়িং চার্জও বেড়েছে। সাধারণত আড়াই হাজার টাকা নিলেও এখন তিন-সাড়ে তিন হাজার, কোথাও চার-সাড়ে চার হাজার পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।
শুধু টোয়িং নয়, গাড়ি সার্ভিস সেন্টারগুলিতেও ফোনের বন্যা। চিনার পার্কের সেন্টার মালিক তনুশ্রী দে বলেন, “এত ফোন আসছে যে সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।” আরেক মালিক মহেশ সিংহ জানান, “প্রায় সব গাড়িতেই ব্রেকডাউন। জল ঢুকে গেছে, সারাতে সময় লাগবে।”
