শারদোৎসবের আবহ শুরু হতেই শনিবার একসঙ্গে তিনটি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতিবাগান সর্বজনীন, টালা প্রত্যয় ও শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো মণ্ডপে তিনি ফিতে কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তবে কোনও মণ্ডপেই প্রবেশ করেননি।
মমতার স্পষ্ট বক্তব্য, “আমি মণ্ডপের উদ্বোধন করছি, মাতৃপ্রতিমার নয়। মহালয়ার দিন থেকে দেবীপক্ষ শুরু হলে তখনই প্রতিমা উদ্বোধন করব।” তিনি আরও জানান, মহালয়ার দিন তর্পণ ও চণ্ডীপাঠের পরেই দেবী প্রতিমার উদ্বোধন করা হবে।
উদ্বোধনের মঞ্চে দাঁড়িয়েই তিনি বারবার বোঝান— তাঁর এই সফর শুধুই মণ্ডপ উদ্বোধনের জন্য। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, এদিনের বক্তব্যে নাম না করে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সাম্প্রতিক “হিন্দুবিরোধী” অভিযোগের জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উৎসবের আবহে ঐক্যের ডাক দিয়ে মমতা বলেন, “সকলেরই নিজস্ব ধর্ম, ভাষা ও মত আছে। আমি চাই, প্রত্যেকে তাঁদের মাতৃভাষাকে সম্মান করুন।”
বাংলা ভাষা ও বাঙালিদের হেনস্থার প্রসঙ্গ টেনে তিনি কড়া সুরে বলেন, “বাংলা ভাষায় কথা বললেই অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না। এই রাজ্যের ২২ লাখ শ্রমিক ভিনরাজ্যে কাজ করেন, আবার দেড় কোটি মানুষ বাইরে থেকে এখানে কাজ করতে আসেন। দেশ আমাদের সহাবস্থানের শিক্ষা দিয়েছে।”
প্রতি বছর মহালয়ার আগে থেকেই মণ্ডপ উদ্বোধন শুরু করেন মমতা। এ বছরও সেই ধারাবাহিকতায় শনিবার শহরের তিনটি বড় পুজো উদ্বোধন করলেন তিনি। আগামী চতুর্থী-পঞ্চমী পর্যন্ত রাজ্যের নানা প্রান্তে আরও উদ্বোধন করবেন— কখনও সরাসরি, আবার কখনও ভার্চুয়ালি।
চেতলা অগ্রণীতে দুর্গাপ্রতিমার চোখ আঁকারও কর্মসূচি রয়েছে তাঁর।
শনিবারের অনুষ্ঠানে বৃষ্টির পূর্বাভাসের প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, “বৃষ্টিতে না ভিজে, শরীর সুস্থ রাখুন।”
