ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের আনুষ্ঠানিক পৃথকীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রশাসনিক, একাডেমিক ও আর্থিক সব দায়িত্ব, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের তথ্য ও ছবি, এবং ভর্তি পরীক্ষার ফি প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসের হাতে এই দায়িত্ব তুলে দেন। অনুষ্ঠানে প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান পৃথকীকরণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে পৃথকীকরণের দাবি ওঠে এবং চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি জরুরি সভায় অধিভুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সাত কলেজকে একীভূত করে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।
পুরোপুরি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরু না হওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসকের অধীনে পরিচালিত হবে। সাত কলেজের একজন অধ্যক্ষ প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন। তবে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা সম্পন্নের দায়িত্ব ঢাবিই পালন করবে।