নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনায় বিলুপ্তপ্রায় আউশ ধানের চাষে মিলেছে আশানুরূপ ফলন। উন্নত জাতের আউশ ধান চাষ করে লাভবান হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে কয়েকগুণ। কৃষি বিভাগের উদ্যোগ ও মাঠপর্যায়ের তৎপরতায় দীর্ঘদিন পর আবারও জেলায় আউশ আবাদে ফিরেছে প্রাণ।
কৃষি বিভাগ জানায়, একসময় শস্যভাণ্ডার খ্যাত নেত্রকোনায় বিপুল পরিমাণ জমিতে আউশ ধানের আবাদ হতো। তবে ফলন কম হওয়ায় ধীরে ধীরে কৃষকেরা এই ধান চাষে আগ্রহ হারান। প্রায় এক দশক ধরে জেলার আউশ আবাদ প্রায় শূন্য হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় গত চার বছর ধরে কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে থেকে কৃষকদের সহায়তা ও পরামর্শ দেন। এর ফলে কৃষকেরা আবারও আউশ আবাদে উৎসাহী হয়ে ওঠেন।
এ বছর জেলার ৯টি উপজেলায় আউশ আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৬৭২ হেক্টর জমিতে, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। এর মধ্যে ১২০ হেক্টর জমির ধান ইতিমধ্যে কাটা সম্পন্ন হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৪১৭ মেট্রিক টন এবং প্রতি হেক্টরে গড়ে ৪.১৫ টন ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
বোরো ও আমন মৌসুমের মাঝ সময়ে অতিরিক্ত ফসল হিসেবে আউশ চাষ করে ভালো ফলন পাওয়ায় কৃষকেরা খুশি। স্থানীয় কৃষকদের ভাষ্য, হেক্টরপ্রতি প্রায় ৫ টন কাঁচা ধান উৎপাদন হয়েছে। ধান বিক্রির টাকা দিয়ে তারা আমন আবাদসহ পরিবারের ব্যয় মেটাতে পারবেন। তবে তারা ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
নেত্রকোনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. আবাদুল আউয়াল বলেন, “এ বছর আউশ ধানের ফলন ভালো হওয়ায় আগামীতে কৃষকেরা আরও বেশি জমিতে এ ধান চাষে আগ্রহী হবেন।”