বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আগামীকাল থেকে বিদেশি কর্মীদের জন্য ‘নিরাপত্তা ছাড়পত্র’ প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল রূপে চালু করতে যাচ্ছে। এখন থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও বিদেশি কর্মীরা তাদের কর্মানুমতির বিপরীতে নিরাপত্তা ছাড়পত্রের আবেদন জমা দিতে পারবেন বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) পোর্টালের মাধ্যমে বিডার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকল বিদেশি কর্মী ও বিনিয়োগকারীকে বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন যাচাইয়ের পর ২১ কার্যদিবসের মধ্যে কোনো আপত্তি না থাকলে নিরাপত্তা ছাড়পত্র অনুমোদিত বলে গণ্য হবে। তবে কর্মানুমতি গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন না করলে কর্মানুমতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
দ্রুত, স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য সেবা
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানান,
“ডিজিটাল নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রক্রিয়া বিনিয়োগকারীদের জন্য দ্রুত, স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য সেবা নিশ্চিত করবে। আমরা বিশ্বাস করি, এটি বাংলাদেশকে আরও বিনিয়োগবান্ধব করতে বড় ভূমিকা রাখবে।”
তিনি এ উদ্যোগে সহযোগিতার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেন,
“ডিজিটালাইজড নিরাপত্তা ছাড়পত্র আন্তঃসংস্থাগত সমন্বয়কে আরও শক্তিশালী করবে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ভিসা ও কর্মানুমতি সংক্রান্ত সেবাকে সহজতর করবে। আমরা বিডার সঙ্গে সমন্বয় অব্যাহত রাখব, যাতে সেবার মান ক্রমাগত উন্নত হয়।”
আন্তঃসংস্থাগত বৈঠক ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
গত ২ সেপ্টেম্বর বিডা প্রধান কার্যালয়ে নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি উপস্থিতিতে আন্তঃসংস্থাগত এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।
সে বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে—
- ভিসা নবায়ন ও ভিসা ফি প্রদানের প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশন
- নতুন বিনিয়োগবান্ধব ভিসা নীতিমালা চালু
- ভিসা অন অ্যারাইভাল ফি অনলাইনে প্রদানের সুযোগ
- আন্তঃসংস্থাগত ইন্টারঅপারেবল ডেটাবেস তৈরির উদ্যোগ
এই সংস্কার কার্যক্রম চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
