সেন্টমার্টিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপিসহ বিরোধী মতের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে এ আইনে মামলা হয় কি-না? তিনি বলেন, বিএনপি সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে। বরং তারাই বলেছেন, আমরা সবই দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাজনৈতিক কৌশল।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলশূন্য মাঠ তৈরিতে সরকার আবারও চক্রান্ত শুরু করেছে। মিথ্যা মামলাই শুধু নয়, গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাড়াহুড়ো করে বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাজা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপির যারা জনপ্রিয় ও সম্ভাব্য প্রার্থী তাদের সরকারের গোয়েন্দারা তুলে নিয়ে নির্যাতন করে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করছে। চাপ প্রয়োগ করছে সরকার।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ক্ষমতাসীনরা আবারও জনগণের সঙ্গে প্রতারণার জন্য মিথ্যা কথা বলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে প্রতিহত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সারাবিশ্ব যেখানে গণতন্ত্রহীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উদ্বেগ প্রকাশ করছে সেখানে এ অনির্বাচিত সরকার মিথ্যাচারের পাশাপাশি দমনপীড়নে অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, চূড়ান্ত আন্দোলনকে সামনে ঢাকা মহানগরকে নেতৃত্বশূন্য করতে একযুগ আগের মামলায় সাজা দেওয়া হচ্ছে। শুধু রাজধানীতে নয়, সারাদেশে গ্রেপ্তার করেই সাজা দেওয়া হচ্ছে। মানুষ কোথায় ন্যায় বিচার পাবে? হাইকোর্ট, প্রশাসন কোথাও সুবিচার নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি কখনোই দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেয়নি, বরং সরকার তা করছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ভিত্তিহীন, মিথ্যা।
তিনি বলেন, সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না জেনেই বিদেশীদের কাছে সাহায্য চাচ্ছে। বিএনপি ও জনগণ তাদের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও একইঞ্চি মাটিও কাউকে নিতে দেবে না। সরকার যা বরাবরই করেছে।
প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, দয়া করে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য দায়িত্ব পালন করুন। সরকারের বেআইনি আদেশ মেনে দেশ ও জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সাত্তার, লিটন মাহমুদ, আনম সাইফুল ইসলামসহ নগর বিএনপির সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।