আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে ৫৪৬ রানের জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের বলে জহির খান হাতে ব্যাথা পেলে ছেড়ে যেতে হয় মাঠ। ১১৫ রানে তারা গুটিয়ে যেতেই ইতিহাস গড়া জয় নিশ্চিত হয় টাইগারদের। এটাই যে রানের ব্যবধানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়।
টেস্ট ক্রিকেটে যা রানের ব্যবধানে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের জয়। টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৬৭৫ রানে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। সেটাও ৯৫ বছর আগে। ১৯২৮ সালে ব্রিসবেনে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়টা ৮৯ বছর আগে ইংল্যান্ডের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার। ৫৬২ রানের ব্যবধানে জিতেছিল তারা। ১৯১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫৩০ রানে হারানোর ব্যবধানটা এতদিন ছিল তৃতীয়তে। সেটাই হটিয়ে এবার এ জায়গাটা নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা।
আগের বলে তাসকিন আহমেদের বল ক্যাচ নিয়েছিলেন লিটন দাস। উইকেট পেয়েছেন, এই খুশিতে উল্লাসে মাতেন বাকি সতীর্থরা। কারণ এটাই যে ছিল শেষ উইকেট। রেকর্ড ব্যবধানে জয়ের খুশি কি আর ধরে রাখা যায়! কিন্তু ব্যাটে-বলে কোনো সংযোগই হয়নি। রিভিউ নিয়ে তাই সফল হয় আফগানিস্তান। পরের বলে তাসকিন বোল্ড করেন জহির খানকে। কিন্তু এবারও হয় নো বল। তাই এবারও বৃথা উদযাপন।
তবে অপেক্ষাটা দীর্ঘ হয়নি। একই ওভারের শেষ বলে তাসকিনের ডেলিভারিতে হাতে আঘাত পান জহির। ফিজিওর সঙ্গে অনেক সময় মাঠে ছিলেন। শেষে মাঠ ছেড়ে যান তিনি। আর তাতেই সিরিজের একমাত্র টেস্টে ৫৪৬ রানের বড় ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয় টাইগারদের।
ইতিহাস গড়া জয়ের পথে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ। ৯ ওভার বল ঘুরিয়ে ৩৭ রান খরচা করেন তিনি। এছাড়া ২৮ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন শরিফুল ইসলাম। এবাদত হোসেন ও মেহেদি হাসান মিরাজ।
তাদের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি আফগান ব্যাটসম্যানরা। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন রহমত শাহ। ৭৩ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল মাত্র দুটি চারে। এছাড়া করিম জানাত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩৮২
আফগানিস্তান ১ম ইনিংস: ১৪৬
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৪২৫/৪ ইনিংস ঘোষণা
আফগানিস্তান ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৬৬২) ৩৩ ওভারে ১১৫