প্রচণ্ড গরমে জনজীবনে যখন নাভিশ্বাস তখন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘার মতো যুক্ত হয়েছে অতিরিক্ত লোডশেডিং। অতিষ্ঠ রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষ। জ্বালানি সংকটে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় কোনো কোনো অঞ্চলে দৈনিক চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা আবার কোথাও-বা আট থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকছে না বিদ্যুৎ। ব্যাহত হচ্ছে লেখাপড়া, ব্যবসা, চিকিৎসাসহ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
তীব্র গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় একটু স্বস্তির খোঁজে মধ্যরাতেও অনেককে দেখা গেছে ঘরের বাইরে। অনেকে সারবেঁধে ফুটপাতে বসে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন। কেউ আবার খালি গায়ে, গামছা গলায় বিদ্যুতের অপেক্ষায়।
গতরাত এবং আজ দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
শিল্প-কলকারখানা, দোকানপাট ও ঘরবাড়িতে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় তীব্র গরম, পানিশূন্যতা, উৎপাদন বন্ধে হয়ে আর্থিক ক্ষতি, অসুস্থতার হার বৃ্দ্ধিসহ ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী।
রাজধানীর বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে তিনবার কারেন্ট চলে যায়। তিনবারে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা কারেন্ট থাকে না। এ সময় ঘরে থাকা যায় না, ঘুমানো যায় না। রাত ২টা-৩টা পর্যন্ত না ঘুমিয়ে বাইরে বসে থাকতে হয়। বিদ্যুতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাসায় গ্যাস-পানিও থাকে না।
প্রচণ্ড গরমে ঘনঘন বিদ্যুতের আসা-যাওয়ায় ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চান তারা। বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মূলত ডলার সংকটে গ্যাস, কয়লা ও জ্বালানি তেল আমদানি বিঘ্নিত হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে মাস দুয়েক সময় লাগবে।