সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ছাতকে প্রেমিকের সাথে বিয়ে বসতে না পারায় অভিমানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক প্রেমিকা। শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে ছাতক-সিলেট রেলপথের গোবিন্দগঞ্জস্থ বটেরখাল নদীর ওপর সেতুতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় প্রত্যক্ষদর্শী এক যুবক তাকে ধরে এনে আত্মহত্যা থেকে রক্ষা করেন।
জানা যায়, উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের সিংগুয়া গ্রামের শুকুর আলীর কন্যা সুমাইয়া আক্তার (১৭) দীর্ঘ তিন বছর ধরে তারই তালতো ভাই রুমন আহমদ শুভর (১৯) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। রুমন উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণবড়কাপন গ্রামের আবদুল খালিকের পুত্র ও গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টের মতিন বাবুর্চির মনসুরশাহ রেস্টুরেন্টের একজন শ্রমিক। মন দেওয়া নেওয়ার এক পর্যায়ে তারা বিয়ের পিড়িতে বসতে রাজি হয়। বিষয়টি উভয় পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে কোন পরিবারও এ বিয়ে দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। পিতা-মাতাসহ পরিবারের লোকজন তাকে তার প্রেমিকের সাথে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় অভিমানে গোবিন্দগঞ্জের বটেরখাল নদীর ওপর সেতু থেকে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে প্রেমিকা সুমাইয়া আক্তার।
এসময় প্রত্যক্ষদর্শী জনৈক এক যুবক কিশোরিকে সেতু থেকে কৌশলে নামিয়ে আনতে সক্ষম হলে সে আত্মহত্যা থেকে রক্ষা পায়। পরে প্রেমিকার এমন অবস্থা দেখে স্থানীয়রা প্রেমিককে ডেকে আনেন প্রেমিকার বাড়িতে।
খবর পেয়ে ছাতক থানার উপ-পরিদর্শক ফাত্তাহ চৌধুরী, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুন্দর আলী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পিতা-মাতা এবং উভয় পরিবারের লোকজন তাদেরকে জিম্মায় না নেওয়ায় অবশেষে প্রেমিক-প্রেমিকাকে পুলিশ থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন।
এদিকে, একইদিন বিকেলে উপজেলার জাউয়াবাজারের একটি কমিউনিটি সেন্টার থেকে রহিম উদ্দিন নামের নতূন এক বরকে পুলিশ আটক করেছে। সে উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের জালিয়া গ্রামের হারিছ আলীর পুত্র।
জানা যায়, সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভার রণকেলী দিঘিরপাড়ের শিপার আহমদ নয়ন চৌধুরীর স্ত্রী সাদিয়া আক্তারের সাথে দীর্ঘদিনের অবৈধ সম্পর্ক ছিল সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের জালিয়া গ্রামের হারিছ আলীর পুত্র রহিম উদ্দীনের।
শুক্রবার বিকেলে জাউয়া বাজারের একটি কমিউনিটি সেন্টারে রহিম উদ্দিন সাদারাই গ্রামের উমর আলীর কন্যা মাহমুদা আক্তার ছাইমার সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর বিকেলে ওই কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের দাবীতে পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হন গোলাপগঞ্জ পৌরসভার রণকেলী দিঘিরপাড়ের শিপার আহমদ নয়ন চৌধুরীর স্ত্রী সাদিয়া আক্তার।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই নতূন বরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। কমিউনিটি সেন্টার থেকে বরকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসলেও নতূন কনে উঠেছেন স্বামীর বাড়িতে।
পৃথক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ছাতক থানার ওসি খাঁন মোহাম্মদ মাঈনুল জাকির।