আমাদের সাচ্চা আওয়ামী লীগের কর্মী দরকার। যারা গা বাঁচাতে বিএনপির সঙ্গে গোপন যোগাযোগ রাখবেন তাদের আমার দরকার নাই বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান।
শনিবার (৩ জুন) সকালে নগরীর জালকুড়ি আরকে ল্যান্ড পার্কে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার জন্য খেলা হচ্ছে। পৃথিবীর মানচিত্রে আমাদের ভৌগলিক সীমা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বিরোধীরা আমাদের দেশের উপর নজর দিয়েছে। তাদের একটাই টার্গেট শেখ হাসিনাকে সরানো। গত এক বছর ধরে এই ষড়যন্ত্র বিএনপি-জামায়াত করে যাচ্ছে। আল্লাহর উপর ভরসা রেখে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, আগামী নির্বাচন তো দূরের কথা, এরপরের নির্বাচনেও বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তারা আগের চেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে। নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘২০০১ সালের পর যে অত্যাচার হয়েছে তা আমরা ভুলি নাই। ওই ৫ বছর আমাদের অনেক নেতাকর্মীর উপর অত্যাচার করা হয়েছে। অনেক নেতাকর্মীকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল। মা-বোনদেরও রেহাই দেয়নি। তারা বোমা হামলার ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের উপর দোষ চাপিয়ে দিয়েছিল। তাদের এই অত্যাচারের ফলাফল জনগণ এখন তাদের দিয়ে দিচ্ছে। যে ছেলে মায়ের খবর রাখে না সে দলের কি খবর রাখবে? আমরা কাউকে কোনো আঘাত করি না। সবাইকে মাফ করে দিয়েছি। শয়তান শয়তানি করবে। তাই আমরা তাদের ক্ষমা করে দিয়েছি। ওই খুনিরা আবার বের হয়ে এসেছে। তারা এখন আবারও ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করছে। সব এলাকার খবর রাখি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল মতিন মাস্টার, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহবায়ক নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, আনোয়ার ইসলাম, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু প্রমুখ।