চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রাচীন এক মসজিদের মিনার ও গম্বুজ ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা নেয় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নিজেদের ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর এমন খড়গের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় জাতিগত সংখ্যালঘু মুসলিমরা।
বুধবার (৩১ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সূত্রের বরাতে সেখানে বলা হয়েছে, সপ্তাহান্তে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি শহরের মসজিদটির মিনার ও গম্বুজকে ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা করে। এজন্য ১ হাজারেরও বেশি পুলিশ মোতায়ন করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
এ সময় মসজিদটির সুরক্ষায় তার সামনে জড়ো হয় স্থানীয় কয়েক হাজার মুসলিম। তারা অভিযোগ করে যে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মসজিদটির মিনার ও গম্বুজ ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে । এর প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করলে এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে উত্তেজিত মুসলিমরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওতে দেখা গেছে, গত শনিবার ইউনানের নাগু গ্রামের ত্রয়োদশ শতকে নির্মিত নাজিয়াইং মসজিদের বাইরে অনেক মুসলিম জড়ো হন। এ সময় পুলিশ ও স্থানীয় মুসলিমদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় শতাধিক পুলিশ।
নাম না জানানোর শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, শনিবার স্থানীয় হুই সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার সদস্য মসজিদটির চারপাশে জড়ো হয়। এদের মধ্যে নারী, পুরুষ বৃদ্ধ থেকে শুরু করে শিশুও ছিল। এর কাছেই কমপক্ষে ১ হাজার পুলিশ মোতয়েন ছিল।
ইউনানের নাগু গ্রামের হুই জাতিগত গোষ্ঠীর এই মসজিদটি মুসলিমদের অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। গত কয়েক বছরে এর গম্বুজযুক্ত ছাদ ও কয়েকটি মিনার নির্মাণসহ এর আকার বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু ২০২০ সালে দেশটির একটি আদালত মসজিদটির সম্প্রসারণ কাজকে অবৈধ ঘোষণা করে তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়।
ধারনা করা হচ্ছে, আদালতের ওই আদেশ কার্যকর করতেই সম্প্রতি মসজিদটির গম্বুজ ও সম্প্রসারিত অংশ ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । তবে স্থানীয় মুসলিমরা সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন।
চীনে সাধারণত এ ধরনের বিক্ষোভের ঘটনা বিরল।











সত্যের সন্ধানে আমরা — NRD News Media Limited