সফেদ সাদা রঙের এক বেলুগা তিমি, যা প্রায় চার বছর আগে নরওয়েতে দেখা গিয়েছিল ২০১৯ সালে। সে সময় ধারণা করা হয়েছিল, তিমিটি রাশিয়ান নৌবাহিনী দ্বারা প্রশিক্ষিত গুপ্তচর তিমি। কারণ তিমিটির গলায় মানুষের তৈরি বর্ম পরানো ছিল।
চার বছর পর সুইডেনের উপকূলে পুনরায় দেখা মিলেছে এই তিমির। চলতি সপ্তাহের রোববার তিমিটিকে সুইডেনের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের হুনেবোস্ট্র্যান্ডে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল।
নরওয়ের আর্কটিকে যখন তিমিটি প্রথম দেখা গিয়েছিল, তখন দেশটির মৎস্য অধিদপ্তরের সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানীরা তার গলা থেকে মানুষের তৈরি বর্মটি সরিয়ে দিয়েছিলেন। তিমিটির গায়ে মোড়ানো একটি প্লাস্টিকে লেখা ছিল ‘ইকুইপমেন্ট সেন্ট পিটার্সবার্গ।’
মানুষের সাথে বন্ধুসুলভ এবং অভ্যস্ত থাকায় নরওয়ের মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ধারণা করেছিলেন তিমিটি হয়ত একটি ঘের থেকে পালিয়ে গেছে এবং এটিকে রাশিয়ার নৌবাহিনী প্রশিক্ষণ দিয়েছে। রাশিয়ার গুপ্তচর ধারণা করে নরওয়ে তিমিটির নাম দিয়েছিলো ভ্লাদিমির।
সোমবার ওয়ানহোয়েল সংস্থা জানায় সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গতি বাড়িয়েছে তিমিটি। ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী সেবাস্টিয়ান স্ট্র্যান্ড বলেন, ‘তিমিটি তার প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে খুব দ্রুত দূরে চলে যাচ্ছিল। আমরা জানি না কেন সে এখনই এত দ্রুত গতি বাড়িয়েছে।
হতে পারে সে সঙ্গী খুজছে বা তার প্রজাতির অন্য বেলুগা তিমি খুঁজছে বলেও জানান তিনি।
তবে তিমিটি রাশিয়ান গুপ্তচর হতে পারে নরওয়ের এমন মন্তব্যে কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি রাশিয়া।
বেলুগা তিমি সাধারণত ‘সাদা তিমি’ নামেও পরিচিত। সুমধুর কণ্ঠের জন্য এরা বিখ্যাত। পূর্ণবয়স্ক বেলুগা তিমির সারা শরীর সাদা হলেও বাচ্চা অবস্থায় গায়ের রং থাকে গাঢ় ধূসর।











সত্যের সন্ধানে আমরা — NRD News Media Limited