নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে দারুণ শুরু করল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শুভসূচনা করল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে মাত্র ১২৯ রানে অলআউট করে টাইগ্রেসরা। ব্যাটিংয়ে নির্ভরযোগ্য রুবিয়া হায়দার অপরাজিত হাফসেঞ্চুরিতে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন পেসার মারুফা আক্তার।
মারুফার আগুনঝরা শুরু
টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া পাকিস্তানকে শুরুতেই ব্যাকফুটে ঠেলে দেন মারুফা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই টানা দুই বলে সাজঘরে ফেরান উমাইমা সোহেল ও ইনফর্ম সিদরা আমিনকে। দুজনই শূন্য রানে আউট হয়ে পাকিস্তানকে চরম চাপে ফেলে যান। ২ রানেই ২ উইকেট হারানো পাকিস্তান আর পুরো ইনিংসে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
পাকিস্তানের ব্যাটিং বিপর্যয়
মুনিবা আলি ও রামিন শামিম কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও অভিজ্ঞ নাহিদা আক্তারের স্পিনে ধস নামে। মুনিবা ১৭ আর শামিম ২৩ রান করে আউট হন। মাঝের সারিতে সিদরা নওয়াজ (১৫) ও আলিয়া রিয়াজ (১৩) কিছু রান করলেও বড় জুটি গড়তে ব্যর্থ হন। অধিনায়ক ফাতিমা সানা ২২ রানে ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করেন। বাকি ব্যাটাররা দাঁড়াতে না পারায় ৩৮.৩ ওভারে ১২৯ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে সেরা বোলার ছিলেন স্বর্ণা আক্তার—৩ উইকেট নেন মাত্র ৫ রানে। মারুফা ও নাহিদা ২টি করে উইকেট নেন। নিশিতা, রাবেয়া ও ফাহিমা প্রত্যেকে নেন একটি করে উইকেট।
রুবিয়ার ব্যাটে সহজ জয়
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপ তৈরি হলেও বাংলাদেশ ঠান্ডা মাথায় খেলে ম্যাচ জিতে নেয়। ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় দল—ওপেনার ফারজানা এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন। এরপর রুবিয়া হায়দার ও শারমিন আক্তারের জুটি দলকে এগিয়ে নেন। শারমিন ১০ রানে আউট হলেও রুবিয়ার সঙ্গে যোগ দেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা।
তৃতীয় উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন তারা। তবে নিগার ২৩ রানে ফিরলেও জয় সুনিশ্চিত করে ফেলেন রুবিয়া। সোবহানা মোস্তারিকে সঙ্গে নিয়ে ৩১.১ ওভারে সহজেই লক্ষ্য অতিক্রম করেন। রুবিয়া অপরাজিত থাকেন ৫৪ রানে, সোবহানা করেন ২৪ রান।
সামনে ইংল্যান্ড চ্যালেঞ্জ
নারী টাইগ্রেসদের পরবর্তী ম্যাচ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, আগামী ৭ অক্টোবর। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় দলকে আত্মবিশ্বাসী করলেও শক্তিশালী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে নিগার সুলতানার দল।
