বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের প্রতিটি বিভাগ ও জেলায় বিকেএসপি’র (বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) মতো আধুনিক ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর আহ্বায়ক এবং বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক মো. আমিনুল হক।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নবনির্মিত ভোলা গজনবী আধুনিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি বলেন, “দেশনায়ক তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় আগামীর বাংলাদেশ গড়তে ঝিমিয়ে পড়া ক্রীড়াঙ্গনকে পুনর্জাগরিত করার উদ্যোগ ইতোমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। আমরা প্রতিটি প্রান্তে প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজে বের করতে কাজ করছি এবং নতুন প্রজন্মকে খেলাধুলায় উৎসাহিত করতে বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজন করছি।”
দীর্ঘদিন পর ভোলায় ফুটবলের প্রাণ ফিরে আসা
ভোলা জেলায় দীর্ঘদিনের নিস্তেজ ক্রীড়া অঙ্গনে নতুন প্রাণসঞ্চার করেছে নবনির্মিত আধুনিক গজনবী স্টেডিয়াম। এ মাঠেই আয়োজিত হলো সোনালী অতীত ক্লাবের উদ্যোগে বহুল প্রতীক্ষিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। ভোলা জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান খেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
মাঠজুড়ে দর্শকদের ঢল নামে। কানায় কানায় পূর্ণ স্টেডিয়ামে কয়েক হাজার দর্শক উত্তেজনা আর আনন্দঘন মুহূর্ত উপভোগ করেন। খেলার আবহ যেন ভোলার খেলাধুলার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনে।
উপস্থিত অতিথিরা
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ গোলাম নবী আলমগীর, সদস্য সচিব আলহাজ মো. রাইসুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হুমায়ুন কবির সোপান, জেলা বিএনপির সদস্য মো. তরিকুল ইসলাম কায়েদ, বরিশাল বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক মো. জাহিদ ইকবাল আলমাছ, ভোলা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়ারুল আলম লিটন, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান মাসুদ, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. হেলাল উদ্দিন ও ভোলা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য মো. নজরুল ইসলাম গোফরানসহ স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
ম্যাচের বিবরণ
দিনের আলোয় জমজমাট খেলায় অংশ নেয় ঢাকা মিরপুর সোনালী অতীত ক্লাব বনাম ভোলা সোনালী অতীত ক্লাব। ঢাকা মিরপুর ক্লাবের হয়ে মাঠে নামেন সাবেক জাতীয় দলের তারকা খেলোয়াড় আলফাজ উদ্দিন, কাঞ্চন, ডন, জাহিদ পারভেজসহ আরও অনেকে। অপরদিকে ভোলা ক্লাবের নেতৃত্বে ছিলেন অধিনায়ক ঈমান আলী, সঙ্গে মোস্তফা কামাল, রনি, ভাই গোপাল, ঝন্টু, মিলন, রবিন চৌধুরী ও মহিউদ্দিন।
খেলার প্রথমার্ধেই মিরপুর ক্লাব টানা চারটি গোল করে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে প্রথমার্ধের ২৫ মিনিটে একটি গোল শোধ করে ভোলা দল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আরও একটি গোল করে ব্যবধান কমায় তারা। শেষ পর্যন্ত মরিয়া চেষ্টা সত্ত্বেও সমতা ফেরাতে ব্যর্থ হয় ভোলার খেলোয়াড়রা। ফলে ৪-২ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা মিরপুর সোনালী অতীত ক্লাব।
দর্শকদের উচ্ছ্বাস
খেলা চলাকালীন দর্শকদের উল্লাস, শ্লোগান আর করতালি স্টেডিয়াম মুখরিত করে তোলে। অনেক দর্শক জানান, বহু বছর পর ভোলায় এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফুটবল ম্যাচ দেখতে পেয়ে তারা ভীষণ আনন্দিত। স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা আশা করছেন, গজনবী স্টেডিয়ামে নিয়মিত খেলার আয়োজন হলে ভোলার তরুণ প্রজন্ম ফুটবলে নতুন করে আগ্রহী হবে।
ট্রফি প্রদান ও সমাপনী
খেলা শেষে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী পর্বে চ্যাম্পিয়ন ঢাকা মিরপুর সোনালী অতীত ক্লাবের হাতে ট্রফি তুলে দেন অতিথি মো. আমিনুল হক। তিনি আবারও প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে আধুনিক ক্রীড়া শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হবে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়াতে পারে।
