অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল— মঞ্চ, টেলিভিশন কিংবা রূপালি পর্দা— সবখানেই তাঁর স্বচ্ছন্দ বিচরণ। সাজগোজে যেমন রুচিশীল, তেমনি ঘর সাজাতেও রয়েছে শিল্পবোধ। দুর্গাপূজোর আগমুহূর্তে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে ঘর সাজানোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন তিনি।
চৈতি বলেন, “পুজোর আগে ঘর সাজানোর তোড়জোড় করতে মাকে দেখতাম। কারণ, আমাদের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। বাবা শান্তিনিকেতন থেকে রামকিঙ্কর বেজের তৈরি কাঠের দুর্গামূর্তি কিনে আনার পর থেকেই আমাদের বাড়িতে দুর্গাপুজোর শুরু।”
শৈশবের সেই পরিবেশ এখনও তাঁকে প্রভাবিত করে। তিনি জানান, আজও পুজোর আগে ঘর গোছানো ও সাজানো তাঁর অভ্যাস। “বাড়িতে অনেক ছবি, পেন্টিং আর ভ্রমণ থেকে আনা স্মারক দিয়ে সাজানো হয়। এ বছর ছেলের তোলা ক্যামেরার ছবি থেকে তৈরি সায়নোটাইপ টাঙাচ্ছি দেয়ালে।”
ছেলে অমর্ত্য এখন মুম্বইয়ে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করছে। তার ছবি ও বাবার আঁকা পেন্টিং ঘরে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। চৈতি হেসে বললেন, “ছেলের ঘরটাই আমার সবচেয়ে শান্তির জায়গা। ওর জিনিসপত্র, ছবির ভেতরেই আমি সবচেয়ে বেশি প্রশান্তি খুঁজে পাই।”
অভিনেত্রীর ঘরে আছে বহু পুরোনো স্মৃতি— দাদুর গ্র্যান্ডফাদার ক্লক, কাঠের চেয়ার, অদ্ভুত আদলের আলনা। চৈতির কথায়, “এই পুরোনো জিনিসগুলোতে হাত ছুঁলেই পুরোনো গল্পগুলো মনে পড়ে যায়, মন ভালো হয়ে যায়।”
সবশেষে তিনি বললেন, “আমার কাছে সবচেয়ে দামি হলো একজন শিল্পীর আঁকা আমার পোর্ট্রেট। রক্তকরবী নাটকে আমাকে দেখে তিনি এটি এঁকেছিলেন। অভিনয়জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তিগুলির একটি ওই ছবি।”

সত্যের সন্ধানে আমরা — NRD News Media Limited