নেত্রকোনা প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ৪নং গড়াডোবা ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত মহিলা সদস্য মনজুরা আক্তার একই ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও সাবেক সচিব আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন তহবিল থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য প্রশাসক, সচিব এবং সদস্য মনজুরা আক্তারের যৌথ স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। অভিযোগ রয়েছে, অভিযুক্ত প্রশাসক ও সচিব মনজুরা আক্তারের স্বাক্ষর জাল করে যৌথ হিসাবে জমাকৃত অর্থ থেকে পাঁচটি চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছেন।
এছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন তহবিলের তিনটি প্রকল্পের মধ্যে একটি প্রকল্পে—“রামপুর জরিনা বেগমের বাড়িতে স্বল্প ব্যয়ে শৌচাগার নির্মাণ”—ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোনয়ন এবং ঠিকাদারদের নথিপত্রে মনজুরা আক্তারসহ অন্যান্যদের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে মনজুরা আক্তার বলেন, “বহুদিন ধরে আমাকে না জানিয়ে এবং আমার স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছিল অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে আমি আমার এক সাক্ষীর মাধ্যমে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে পাই। এরপর আদালতের দ্বারস্থ হই।”
মামলাটি সি.আর. নং ২২১(১)২০২৫ অনুযায়ী দণ্ডবিধির ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ও ৩৪ ধারায় দায়ের করা হয়েছে।
মনজুরা আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রুকন উদ্দিন বলেন, “আমরা আদালতে যথাযথ কাগজপত্র উপস্থাপন করেছি, যেখানে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে—মনজুরা আক্তারের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।”
আদালত কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, “আমি এখনো মামলার কপি পাইনি। মামলার কপি হাতে এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
