চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ১১৩ জন রোগীর মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অধিকাংশ রোগী শক সিনড্রোম, অঙ্গ বিকল বা জটিল উপসর্গে ভুগে প্রাণ হারিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে (ডিএসএস)।
তথ্য অনুযায়ী, ৫৬ জন রোগী মারা গেছেন ডিএসএস-এ। জটিল উপসর্গে (ইডিএস) মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। এছাড়া ডেঙ্গু হেমোরেজিক সিনড্রোমে (ডিএইচএস) মারা গেছেন একজন। ডিএসএস ও ইডিএস মিলিয়ে ৯ জন, অঙ্গ বিকল ও বহু অঙ্গ বিকলের জটিলতায় ৫ জন এবং হৃদযন্ত্রের শকে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেদন বলছে, মৃত্যুর বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটেছে রোগী ভর্তি হওয়ার পর প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা না পাওয়া এবং হাসপাতালে আসতে দেরি করায় রোগীর অবস্থা দ্রুত জটিল হয়ে যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, ‘‘রোগ চিহ্নিত হওয়ার শুরুতেই চিকিৎসা শুরু না হলে, অনেক সময় জটিলতা দেখা দেয়। বিশেষ করে শক, রক্তক্ষরণ ও অঙ্গ বিকলের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে রোগীকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে।’’
চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গুর প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণ নেওয়া এবং সঠিক সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াই মৃত্যুহার কমানোর মূল উপায়।
