হলিউডের বিশ্বখ্যাত তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আবারও আলোচনায় এসেছেন অভিনয় ছাড়াও সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুতে তার সরব অবস্থানের কারণে। অস্কারজয়ী এই অভিনেত্রী বরাবরই মানবাধিকার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। এবার তিনি নিজ দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
স্পেনের সান সেবাস্তিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে নিজের নতুন ছবি ‘কাউচার’ প্রদর্শনের সময় জোলি সরাসরি মার্কিন প্রশাসনের সমালোচনা করেন। বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে সমালোচনামূলক গণমাধ্যম ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপগুলোকে তিনি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য বড় হুমকি বলে উল্লেখ করেন।
সম্প্রতি প্রভাবশালী রক্ষণশীল চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মন্তব্য করায় লেট-নাইট হোস্ট জিমি কিমেলের অনুষ্ঠান স্থগিত হওয়া প্রসঙ্গ টেনে জোলি বলেন, “আমি আমার দেশকে ভালোবাসি, কিন্তু এই মুহূর্তে যা হচ্ছে তা আমি সমর্থন করতে পারছি না। ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি বা স্বাধীনতাকে খর্ব করা অত্যন্ত বিপজ্জনক।”
৫০ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী আরও বলেন, “এটা খুবই কঠিন সময়। আমরা সবাই একসাথে বসবাস করছি, কিন্তু স্বাধীনতা সীমিত হলে সমাজ ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে এগোয়।”
অ্যালিস উইনোকুর পরিচালিত ‘কাউচার’ উৎসবের শীর্ষ পুরস্কার ‘গোল্ডেন শেল’-এর জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ছবিতে জোলি অভিনয় করেছেন আমেরিকান চলচ্চিত্র পরিচালক ম্যাক্সিন ওয়াকারের চরিত্রে, যিনি ব্যক্তিগত সংকট ও নতুন প্রেমের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যান।
জোলি জানিয়েছেন, চরিত্রটির যন্ত্রণার সাথে তিনি নিজেও সংযোগ খুঁজে পেয়েছেন। ২০১৩ সালে ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়াতে তিনি ডাবল মাস্টেকটমি, পরবর্তীতে ডিম্বাশয় ও ফ্যালোপিয়ান টিউব অপসারণ করান। এই অভিজ্ঞতা তাকে আরও দৃঢ় করেছে।
তিনি আবেগভরে বলেন, “যদি আমার মা আর দাদি এই বিষয়গুলো নিয়ে খোলামেলা বলতে পারতেন, তাহলে তারা হয়তো একা বোধ করতেন না। হয়তো যুদ্ধ জিততেন।”
নারীদের জন্য ক্যান্সারের লড়াইকে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে জোলি বলেন, “এটা শুধু শারীরিক নয়, আবেগিকভাবেও নারীদের গভীরভাবে প্রভাবিত করে।”
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
