পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে শুধু একজনই নয়, ৪১ জন অস্থায়ী মহিলাকর্মী ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ফেসিলিটি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার শুক্রবার হাসপাতাল পরিদর্শনে এমন তথ্য জানান।
অর্চনা বলেন, “সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কিছুই জানতে পারেননি, যা আশ্চর্যের।” তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন, ১৭ বছর আগে নাবালিকা ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত কিভাবে বেকসুর খালাস পেয়ে হাসপাতালের সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে পেরেছিলেন। এ ঘটনায় রাজ্য সরকার, স্বাস্থ্য দফতর এবং পুলিশ প্রশাসনের চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
পরিদর্শনের সময় অর্চনা জানান, ১০০টির বেশি সিসি ক্যামেরার প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালে মাত্র ৪০টি ক্যামেরা আছে। বিশেষত চিকিৎসকদের বিশ্রামকক্ষ, প্রসূতি বিভাগ ও মহিলা কর্মীদের রস্টার এলাকায় পর্যাপ্ত নজরদারি নেই।
কমিশনের হাতে এসেছে তথ্য, যে অভিযুক্ত ২০০৮ সালে ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের পর গর্ভপাত করান। মামলায় কিছু মাস জেল খেটেও বেকসুর খালাস পান তিনি। হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীদের কাজের রস্টারও নিয়ন্ত্রণ করতেন অভিযুক্ত। মহিলারা অভিযোগ করেছেন, কাজের সই করতেও তাদেরকে অভিযুক্তের কোলে বসতে হত।
অর্চনা বলেন, “সিন্ডিকেট যাতে ভবিষ্যতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। পকসো মামলার তদন্ত পুনঃমূল্যায়ন করা হবে।”

সত্যের সন্ধানে আমরা — NRD News Media Limited