সাতক্ষীরার পাঁচ উপজেলায় পৃথক ঘটনায় চার শিশু ও এক কিশোর পানিতে ডুবে মারা গেছে। সোমবার সদর, কলারোয়া, আশাশুনি, কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে।
সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের এল্লারচর আবাসন প্রকল্পে ইসমাইল হোসেনের মেয়ে খাদিম (৪) পুকুরে পড়ে মারা যায়। বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে সদর থানার ওসি শামিনুল হক নিশ্চিত করেছেন।
কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামে দুই বছরের শিশু ইরফান খাঁ পানিতে ডুবে মারা যায়। স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, গোসলের জন্য ঘরের বাইরে রাখার কিছুক্ষণ পর রান্নাঘরের পাশের ডোবার পানিতে পড়ে যায় সে। পরে সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামে পানিতে পড়ে দেড় বছরের শিশু ঈশিতা সানার মৃত্যু হয়। বাড়ির পাশের পুকুরে বড় বোনের সঙ্গে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কালিগঞ্জ উপজেলার নলতার ইন্দ্রনগর গ্রামে মো. সিরাজুল ইসলামের মেয়ে লামিসা খাতুন (১৯ মাস) বাড়ির উঠানের পাশের পুকুরে ডুবে যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ক্লিনিকে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাদ মাগরিব জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
অন্যদিকে, শ্যামনগর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোর ফয়সাল হোসেন (১৬) পানিতে ডুবে মারা যায়। রোববার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ থাকার পর সোমবার দুপুরে বাড়ির পাশের ডোবায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।
শ্যামনগর থানার ওসি হুমায়ুন কবির মোল্লা জানান, পরিবারের কোনো আপত্তি না থাকায় মরদেহ দাফনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।
