নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের শপথে যোগ দিলেন বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | সময়: বিকাল ৪:৫০
কাঠমান্ডু: প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। নেপালের নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শফিকুর রহমান।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানী কাঠমান্ডুর রাষ্ট্রপতি ভবন ‘শীতল নিবাস’-এ এক অনাড়ম্বর ও গাম্ভীর্যপূর্ণ অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানকে শপথ বাক্য পাঠ করান নেপালের রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গঠিত এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, নেপালের উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেরই প্রতিফলন বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর রাষ্ট্রদূত শফিকুর রহমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান সুশীলা কার্কির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং তাকে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। এসময় তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, নতুন নেতৃত্বের অধীনে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বাণিজ্য, জ্বালানি, যোগাযোগ এবং জনগণের মধ্যে সংযোগসহ সকল ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হবে।
রাষ্ট্রদূত শফিকুর রহমান নেপালের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থনের কথা পুনর্ব্যবচনা করেন। তিনি বলেন, একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ নেপাল সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্য মঙ্গলজনক।
উল্লেখ্য, ৭৩ বছর বয়সী সুশীলা কার্কি নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। তার নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে কাজ করবে।
