চাকরিতে বৈষম্য দূরীকরণ ও হয়রানিমূলক পদক্ষেপ বন্ধসহ চার দফা দাবিতে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য গণছুটিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের সহ-দপ্তর সম্পাদক অঞ্জু রানী মালাকার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একাধিকবার কমিটি গঠন ও আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান নেয়নি বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। বরং আন্দোলনে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাময়িক বরখাস্তসহ শাস্তিমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে হয়রানি করা হচ্ছে। এতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ করা হয়, অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত ও বরখাস্তকৃতদের আদেশ বাতিল না করে বরং দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোনো প্রশাসনিক বা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
চার দফা দাবি
১. আরইবি-পিবিএস একীভূতকরণ অথবা অন্যান্য বিতরণ সংস্থার মতো কোম্পানি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা; সব চুক্তিভিত্তিক/অনিয়মিত কর্মীদের (মিটার রিডার, লাইন শ্রমিক, বিলিং সহকারী) নিয়মিতকরণ; চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল ও সব মামলা প্রত্যাহার; সাময়িক বরখাস্ত ও অন্যায়ভাবে বদলিকৃতদের পদায়ন বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন বাস্তবায়ন।
২. ১৭ আগস্ট থেকে অদ্যাবধি চাকরিচ্যুত, বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মকর্তাদের আদেশ বাতিল করে আগের কর্মস্থলে পুনঃপদায়ন।
৩. জরুরি সেবায় নিয়োজিত লাইনক্রুদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ এবং শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে না পারা পাঁচজন লাইনক্রুকে আগের কর্মস্থলে ফেরত পাঠানো।
৪. পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ।
সংবাদ সম্মেলনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
