দিরাই প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা একরার হোসেনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, অস্ত্রবাজি ও হত্যা মামলার সুষ্ঠু বিচারসহ তার দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেল ৬টায় কুলঞ্জ ইউনিয়নের আঁকিল শাহ বাজারে স্থানীয় বাসিন্দাদের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অত্র এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, যুব সমাজ ও রাজনৈতিক কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন পরিচালনা করেন মো. কামরুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন আঁকিল শাহ বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ মইনুল হক, নানু মিয়া, তাহিদ মিয়া, মুজাহিদ মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, কুলঞ্জ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান একরার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ফ্যাসিবাদী কায়দায় শাসন চালিয়ে আসছেন। তিনি অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনীর তৈরি করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি ও এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করেছেন। বক্তারা দাবি করেন, তিনি ৯নং কুলঞ্জ ইউনিয়নের সন্ত্রাস ও অস্ত্রবাজির মূল হোতা, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গডফাদার এবং নিরীহ আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের জন্য একরার দায়ী।
বক্তব্যে তারা বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে দলের প্রভাব খাটিয়ে ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার করেছেন। সেই আধিপত্য ধরে রাখতে এখনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ২২ জুন হাতিয়া গ্রামে যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় তার বাহিনী পালিয়ে গাদিয়ালা গ্রামে আশ্রয় নেয়। সেখানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একরার বাহিনীর গুলিবিনিময়ের সময় গুলিতে নিহত হন নিরীহ আবু সাঈদ। আমরা এ হত্যার দ্রুত তদন্ত ও দায়ীদের বিচার দাবি করছি।”
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা আরও অভিযোগ করেন, একরার হোসেনের বিরুদ্ধে বারবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ দানা বাঁধছে।
বক্তারা অবিলম্বে ইউপি চেয়ারম্যান একরার হোসেনকে গ্রেফতার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।