মৌলভীবাজার প্রতিনিধি::
হাজীপুর সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে ও বিএনএসবি মাতারকাপন চক্ষু হাসপাতালের সার্বিক সহযোগিতায় হাজীপুর পাইকপাড়া এম এ আহাদ আধুনিক কলেজে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠিত।
শনিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ ঘটিকায় হাজীপুর পাইকপাড়া এম এ আহাদ আধুনিক কলেজে হাজীপুর সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে ও বিএনএসবি মাতারকাপন চক্ষু হাসপাতালের সার্বিক সহযোগিতায় ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠিত।
হাজীপুর সমাজকল্যাণ পরিষদ সমাজসেবার মহান ব্রতকে সামনে নিয়ে বিভিন্ন সমাজকল্যাণ মুখি কাজের মধ্য দিয়ে সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ন্যায় এবারো চক্ষু ক্যাম্পে প্রায় পাঁচশতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।
উক্ত চক্ষু ক্যাম্পে সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি গাজী জাবের আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে গুরুত্বপূর্ন দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার জাকির হোসেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে তিনি বলেন, এরকম মহতি উদ্যোগের ভূয়সি প্রশংসা করে বলেন, একটি সংগঠন প্রথম থেকে নিয়ে রোগীর চশমা, ঔষধ খাবার গাড়ি ভাড়া সকল খরচ সমাজকল্যান পরিষদ বহন করার মধ্য দিয়ে সামাজিক স্যগঠনের মধ্য দিয়ে এক ঐতিহাসিক অনন্য নজর প্রতিষ্টা করে যাচ্ছ। এরই মধ্যে প্রায় ষাট জনের অধিক মানুষকে ছানি অপারেশন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করে দেয়া হয়েছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবক সাইফুল ইসলাম খান ও পরিষদের সহ- সভাপতি মোস্তাক আহমদ শাহীন, মাস্টার আব্দুল আজিজ, পরিষদের সেক্রেটারী মাহিরুল ইসলাম, সহ সেক্রেটারী ওয়াহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ উদ্দিন জুনেদ, সহ- সাংগঠনিক সস্পাদক নজরুল ইসলাম তোফাজ্জল। অফিস ও কোষাধ্যক্ষ যথাক্রমে শাহারুল ইসলাম, ইব্রাহিম আলী জুনাব প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে গাজী জাবের আহমদ
হাজীপুর সমাজকল্যাণ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দারিদ্র্য ও আর্থপীড়িত লোকের কথা চিন্তা করে সময় সময় সেলাই মেশিনে বিতরন, রক্তদান, চিকিৎসা সেবা, কন্যাদায়গ্রস্থ পিতাদের আর্থিক সহায়তা, ফুড প্যাক বিতরন, কুরবানির মাংস বিতরন, টিউবওয়েল স্থাপন সহ বিভিন্ন আর্থসামাজিক কাজ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে ও সবার দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে এ সমস্ত কার্যক্রম অব্যাহত থাকার প্রত্যয় নেন।
আনুষ্ঠানিক চক্ষু শিবিরের কার্যক্রম শুরু হয় এবং বিকাল তিনটার দিকে বাস পরিবহনের মাধ্যমে ছানি অপারেশন যোগ্য প্রায় একষট্টি জন রোগিকে হাসপাতালে প্রেরণ ও অপারেশন পরবর্তী পরিচর্যা করে তাদেরকে তাদের বাসস্থানে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।