কুৃষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ঃ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা বামনপাড়া গ্রামের জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে আহত করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
অভিযোগ পাওয়া গেছে এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। মেহেদী হাসান নামে একজনের হাতের মাংসপেশিতে কামড় দিয়ে গোস্ত তুলে নেয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে ,
আজ মঙ্গলবার সকাল অনুমান সাড়ে ৬টা জখমী মেহেদী হাসানের পিতা তার পাখি ফ্যান নিয়ে ভেড়ামারা বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় প্রতিপক্ষের মোহাম্মদ শিহাব, মোঃ শহিদুল মোহাম্মদ ,তৈরান, রুবেল, সুরুজ ,শামসুন্নাহার সাহানা, রাফি গণ হাতে হাসুয়া লোহার রড, লোহার হাতুড়ি লোহার পাইপ কাঠের বাটাম লাঠি সোটা প্রভৃতি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে বেআইনি জনতা বদ্ধে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে মেহেদী হাসানের বৃদ্ধ পিতার উপরে আক্রমণ করে।
এ সময় মেহেদী হাসানের মা স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে আসামিরা তাকে পিটিয়ে ও রক্তাক্ত জখম করে।
পিতা ও মাতাকে রক্ষা করার জন্য মেহেদী হাসান এগিয়ে এলে আসামি শহিদুল তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে তার কপালের বাম পাশে আঘাত করে হাড়-ফাটা রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় আসামি
রুবেল মেহেদী হাসানের ডান হাতের কনুইয়ের উপরের অংশে সজোরে কামড় দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
উপরোক্ত আসামীরা দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে মেহেদী হাসানের পিতার বসতবাড়ির ভিতরে অনধিকার প্রবেশ করে তাদের হাতে থাকা অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে পাকা বাথরুমের একদিকে দেয়ালসহ প্যান পাকা রুমের এক সাইডে দেয়াল নির্মিত বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করে অনুমান এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে। বিবাদী শামসুন্নাহার ও রাফি মেহেদী হাসানের মায়ের শয়নকক্ষে প্রবেশ করে ঘরে রক্ষিত একটি কাঠের বাক্সের তালা ভেঙে বাক্সে ইজিবাইক ক্রয়ের উদ্দেশ্যে রাখা নগদ এক লক্ষ দশ হাজার টাকা, দশ আনা ওজনের একজোড়া স্বর্ণের চুরি, সাত আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন , ছয় আনা ওজনের একজোড়া স্বর্ণের দুল নগদ ১লক্ষ ৪৩ হাজার ৭৫০ টাকা বের করে নেয়। এ ঘটনায় মেহেদী হাসানের স্ত্রী মোসাম্মৎ সুমাইয়া খানম লীনা বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লীনা তার অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, আসামিরা তার মুখে সহ শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং তার পুত্র ও দেবরকে কিল-ঘুসি মেরে নীলা-ফোলা জখম করে। ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাদেরকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে পাখি ভ্যানযোগে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসার জন্য নেয়।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
আক্রমণের সময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশ ডেকে উদ্ধার হন আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন লক্ষ্য করা গেছে। এ ব্যাপারে ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জহুরুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,
এই ঘটনায় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী জখম হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন। ভেড়ামারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে সুমাইয়া খানম লীনা এর দরখাস্ত তিনি এখনো পাননি। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ওসি জানান।।