এন আর ডি ডেস্ক নিউজ ঃ
মণিপুরের ঘটনা নিয়ে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে ধরনায় বসেছেন বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে দুই নারীকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনায় সপ্তম ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন নাবালক।
সোমবার মণিপুরের থৌবল জেলা থেকে সপ্তম ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তি সেখানে গা ঢাকা দিয়েছিল।
জাতীয় রাজনীতিতে বটেই, মণিপুরের স্থানীয় রাজনৈতিক মহলেও একটি প্রশ্ন বার বার তোলা হচ্ছে। দুই মাস আগে যে ঘটনা ঘটেছিল, পুলিশ এতদিন পর তা নিয়ে নড়েচড়ে বসল কেন? কেন আগেই ধরপাকর শুরু হয়নি। মণিপুরের জনজাতি বিষয়ক একটি সংগঠন সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করেছে, দুই মাস আগে ওই ঘটনা ঘটার পর পুলিশের কাছে এফআইআর করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তখন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সম্প্রতি ওই ঘটনার ভিডিও সামনে আসার পর এবং তা নিয়ে দেশজুড়ে আলোড়ন শুরু হওয়ার পরেই পুলিশ ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে।
এই ঘটনায় প্রথম ব্যক্তিকে গত ২০ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই দিনই আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে ওই ঘটনার জন্য প্রত্যেক অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছেন আন্না হাজারে। একসময় দিল্লিতে দীর্ঘ আন্দোলন করেছিলেন আন্না হাজারে। তার সেই আন্দোলনের পরেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে আম আদমি পার্টি গঠিত হয়। মাঝে দীর্ঘদিন কার্যত অন্তরালে ছিলেন অন্না। মণিপুরের ঘটনার পর ফের সরব হয়েছেন তিনি।
গত ৩ মে থেকে উত্তাল মণিপুর। কুকি এবং মেইতেইয়ের সংঘর্ষে এখনো পর্যন্ত ১৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া। পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে তারা উদ্বাস্তু ক্যাম্পে আছেন। তাদের বক্তব্য, মণিপুরে তাদের সম্পত্তি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রামে ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছেন তারা।










সত্যের সন্ধানে আমরা — NRD News Media Limited