নিজস্ব প্রতিবেদক::
খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে কৃষকের জীবনমান উন্নয়ন এবং গ্রামকে শহরে রূপান্তর করার জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কৃষকদের কাছে সাশ্রীয় মূল্যে কৃষিপণ্য পৌঁছে দিতে বড় অংকের ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। কৃষকদের চাষাবাদে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য প্লট প্রদর্শনীতে বীজ, সার, ওষুধ ও নগদ অর্থও বরাদ্দ রয়েছে।
কিন্তু সরকারের এই মহতি উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করছেন না মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। মো. রেজাউল করিম নামের এই কর্মকর্তা বিভিন্ন প্রকল্পের প্রদর্শনীতে বরাদ্দকৃত টাকা, সার, বীজ ও অন্যান্য উপকরণ কৃষকদের মধ্যে বণ্টন না করে নিজেই আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার সমাচারে প্রতিবেদন প্রকাশের পর টনক নড়ে জেলা ও বিভাগীয় কৃষি অফিসের।
রোববার এই অফিসারের তদন্ত টিম আসবে শুনতে পেরে তিনি বিভিন্ন প্রদশর্নীতে টাকা না পাওয়া কৃষকদের সকালে কৃষি অফিসে ডাকেন এবং অনুরুধ করেন তদন্ত টিমের কাছে মিথ্যা কথা বলতে। এ সময় তিনি কয়েকজন কৃষককে নগদ কিছু অর্থ প্রেরন করেন।
এ ব্যাপারে পাঁচগাও ইউনিয়নের কৃষক জয়নাল মিয়া বলেন, রোববার আমাকে কৃষি অফিসার ২০০০ টাকা দিয়েছেন এবং অনুরুধ করেছেন তদন্ত টিমকে বলার জন্য টাকা পূর্বে পেয়েছি।
কামারচাক ইউনিয়নের কৃষক মাহমদ মিয়া বলেন, আমি কোনো অর্থ পাইনি। এর পূর্বে ও অফিসার আমার প্রদশর্নী দেখিয়ে পুরুষ্কার লাভ করেছেন কিন্তু আমাকে কোনো ধরনের অর্থ প্রদান করেননি উল্টো আমার ৮০০০/১০০০০ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
কামারচাক ইউনিয়নের কৃষক ওয়াতির মিয়া বলেন, আমাকে আজকে ১৭ শ টাকা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত অফিসার ডাকলে বলার জন্য টাকা পূর্বে পেয়েছি তাই বাধ্য হয়ে আমি মিথ্যা কথা বলেছি।
এ ছাড়াও সুমেনা বেগম,কবি বেগম, কালাম মিয়া, স্বপন মিয়া, আব্দুল্লাহ এ দিন সকলে নগদ অর্থ পেয়েছেন তাদেরকে একইরুপে বলা হয়েছে টাকা ও বিভিন্ন সহযোগিতা পূর্বে পেয়েছেন স্বীকার করতে।