এন আর ডি ডেস্ক নিউজ ঃ
উত্তর ভারতের বেশ কিছু অংশে গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত জনজীবন। ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় গত তিন দিনে কমপক্ষে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে শহর ও জনপদের অনেক রাস্তাঘাট ও ভবন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স সোমবার এ খবর জানায়।
ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার বরাতে রয়টার্স জানায়, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, উত্তর প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাঞ্জাব রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ২২ জন মারা গেছে। হিমাচলে বৃষ্টির কারণে রাস্তা ও সেতুতে আটকে পড়া মানুষকে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে উদ্ধার করেছে কর্তৃপক্ষ।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) তথ্যমতে, জুলাইয়ের প্রথম কয়েক দিনে উত্তর-পশ্চিম ভারতে সর্বোচ্চ ২৪৩.২ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারী বর্ষণের ফলে এই অঞ্চলের বেশ কিছু অংশে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। শহর ও শহরে অনেক রাস্তা ও ভবন হাঁটু পানিতে ডুবে আছে।
এ ছাড়া দিল্লির যমুনাসহ বেশ কয়েকটি নদীর পানি বেড়ে আশেপাশের এলাকা তলিয়ে গেছে।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান, দিল্লি এবং এর আশেপাশের অঞ্চলগুলিতে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ।
প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরাখণ্ডেও ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যার খবর পাওয়া গেছে। একইসঙ্গে রাজ্যটিতে নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে জানিয়েছে আইএমডি।
এদিকে প্রবল বৃষ্টিতে গুরগাঁও এবং দিল্লির সমস্ত স্কুল সোমবার বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের রবিবারের ছুটি বাতিল করে তাদের মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। মূলত ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া ট্রাফিক জ্যাম এড়াতে গুরগাঁও প্রশাসন কর্পোরেট হাউসগুলোকে সোমবার বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে।
উত্তর ভারতজুড়ে প্রবল বর্ষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হিমাচল প্রদেশ। সেখানে রেড এলার্ট জারি করেছে কর্তৃপক্ষ এবং সমস্ত স্কুল ও কলেজ দুই দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। অঞ্চলটির মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু এলাকার মানুষকে আগামী ২৪ ঘন্টা বাড়িতে থাকার এবং কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।