রাবেতা প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর শাহিনের বিরুদ্ধে অসংখ্য অনিয়মের অভিযোগ
লংগদু প্রতিনিধিঃ
রাঙ্গামাটির লংগদু ইবনে সিনা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর জনাব নুরুল ইসলাম শাহিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্থানীয় কর্মচারীদের চাপের মুখে চাকরি থেকে অব্যহতি দেওয়া এবং তার নিজস্ব এলাকার কর্মকর্তা- কর্মচারি নিয়োগ দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায় নুরুল ইসলাম শাহিন কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে বিভিন্ন অযুহাত অব্যহতি দেয়া এবং অন্যায়ভাবে তাদের উপর মানসিক জুলুম করার কারনে অনেকে নিজ থেকে চাকরি থেকে অব্যহতি নিতে বাধ্য হয়েছে।এখনও যা দুই একজন স্থানীয় আছে তাদের উপর অন্যায় ভাবে বিভিন্ন কাজ চাপিয়ে দিয়ে খুটিনাটি বিষয় ঝামেলা সৃষ্টি করেন।যাতে করে তারা চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় এমনটাই জানায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে বর্তমান কর্মরত কয়েক জন কর্মকর্তা- কর্মচারি ।
এছাড়াও রেজুলেশন এবং পরিচালনা কমিটির মিটিং ছাড়াই নিজের ইচ্ছা মতো রাবেতা মডেল রেজিঃ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেন শাহিন যা নিয়ম নীতি বহিভূর্ত,
নুরুল ইসলাম শাহিন কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে স্থানীয় চাকরি জীবিদের উপর চলে জুলুম নির্যাতনের স্টিমরোলার, যারা সঠিক ও সত্য কথা বলে তাদেরকে বাদ দেওয়ার সকল ষড়যন্ত্র করেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা,বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে তার অনুগত যাতে করে সে যা বলে তাই পালন করা হয়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান গরু- ভেড়া ক্রয়ের ক্ষেত্রে তিনি কাউকে সঙ্গে নেয় না একা একা গিয়ে দাম করে নিয়ে আসেন গরুর বাজার মূল্য থেকে অনেক বেশি বিল ভাউচারও করেন তিনি আমরা তার অধীনে চাকরি করি তাই দেখেও কথা বলতে পারিনা,কারন তার মতের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই তার চাকরি চলে যায়।
তার মতের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারনে যাদের চাকরি চলে গেছে বা অব্যহতি নিতে বাধ্য হয়েছে তারা হলেন ১.আসাদুল ইসলাম ২.জাহাঙ্গীর আলম ৩.আব্দুল গফুর ৪.জয়নাল আবেদীন ৫.সালমা আক্তার ৬.মোঃ হানিফ ৭. মোঃ আবু হানিফ ৮. জয়নাল আবেদীন ৯. আব্দুস সাত্তার ১০.নুর জাহান ১১.ফরিদা আক্তার।
চাকুরী চ্যুত জয়নাল আবেদীন বলেন আমার বয়স বেশি বলে চাকরি থেকে বাদ দিয়েছে কিন্তু আমার থেকে বেশি বয়সী লোক এখনো চাকরি করে, আমাকে বাদ দিয়ে মাস্টাররোলে চাকরি করতে বলেন বেতন পাঁচ হাজার টাকা, কোন ছুটি নাই, কোন জরুরি কারনে ছুটি নিলে সেদিনের বেতন কাটা হবে,এমন শর্তে আমি রাজি হইনি।
এছাড়া চাকরি থেকে থেকে অব্যহতি নেয়া মোঃ হানিফ বলেন আমি জেনারেটর বিভাগে চাকরি করতাম আমি অফিসের প্রফিডেন্ট ফান্ড থেকে লোন নেই, রাব তার নিয়মে লোন পরিশোধ করতে হয় তিন বছরে কিন্তু আমার লোন পরিশোধ করতে বলে ১০মাসে এবিষয় নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা আমাকে জানান, ইবনে সিনার নিয়ম ১০মাসে লোন পরিশোধ করতে হবে, সে হিসেবে আমি লোনের কিস্তি কাটার পর এগারোশ টাকার মতো পাই রাগারাগি করে ঐ এগারোশ টাকাও আমি নেই না এটা প্রজেক্ট-কোঅর্ডিনেটর জানার পরেও কোনদিন আমাকে জিজ্ঞেস করে নাই যে, আমি কিভাবে চলি আমার বউয়ের কি অবস্থা? এধরণের অমানবিক কার্যকালাপ করেতেন আমরা যারা স্থানীয় আছি তাদের সাথে।
এদিকে আমার বউ অসুস্থ তাকে নিয়ে টাকা অথবা চট্টগ্রাম যেতে হবে ছুটির দরখাস্ত দিলাম ছুটির মনজুর হলো না বলল ছুটি দেয়া যাবে না, চাকরি ছেড়ে যাও তখন আমি রাগ করে ছুটির দরখাস্ত এবং অব্যহতি পত্র একত্রে দিয়ে যাই, আমি মনে করেছিলাম হয়তো আমি আসার পর ছুটি মনজুর হবে কিন্তু এসে দেখি অব্যহতি মনজুর হয়েছে, এভাবেই তিনি স্থানীয় এবং তার মতের বিরোধী লোকদের চাকরি ছাড়তে বাধ্য করেন।
হাসপাতালের সাবেক স্টাফ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন আমি শাহিন সাহেবের অত্যাচারে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছি,আমি চাকরি ছাড়ার পরেও আমার বউ চাকরি করতো পরে আমার বউয়ের অন্য করো সাথে বিয়ে হলে আমি আমার ঘরের মালামাল আনতে গেলে শাহিন সাহেব বলেন মালামাল পরে দেওয়া হবে, এবং আমাকের ফোন করে আসতে বলবেন, কিন্তু আমার সংসারের প্রায় ৫লক্ষাধিক টাকার মালামাল সালমার (আমার সাবেক বউ) কাছে টাকা খেয়ে আমাকে না জানিয়ে তাকে দিয়ে দিয়েছে।
এসব ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করলে মুঠোফোনে রাবেতা প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর শাহিন সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কাউকে চাকরি থেকে অব্যহতি দেইনি তারা নিজ থেকে চাকরি ছেড়ে দিয়েছে, আর আসাদ চাকরি ছেড়েছে ঘটনার অনেক আগে তার সাথে আমার কোন যোগাযোগ হয়নি, এছাড়া দশটি কাজ করলে দুই একটা কাজ ভুল হতে পারে বলে স্বীকার করেন জনাব শাহীন।