এস,এম,শাহ্ইমরান কনক, দিনাজপুর
৬ আগষ্ট রবিবার সকাল ৯ টায় বোচাগঞ্জ রবিন্দ্র সম্মিলন পরিষদ ও শিল্প কলা একাডেমির আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব কবি রবিন্দ্র নাথ ঠাকুরের ৮৩ তম প্রয়ান দিবসে নজরুল ও রবিন্দ্র মঞ্চে কবিগুরু রবিন্দ্র নাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
৬ আগষ্ট ২২ শে শ্রাবন রবিবার সকাল ৯টায়
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
৮৩ তম প্রয়ান দিবস। বোচাগন্জ জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ্ সেতাবগন্জ শাখা, বোচাগন্জ উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি, নজরুল পরিষদ বোচাগন্জ, সেতাবগন্জ সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়,বোচাগন্জ মডেল স্কুল, মেলাগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহ” কারী কমিশনার ভূমি, জনাব, সামসুল হুদা,শামীম আযাদ,অধ্যক্ষ সুব্রতকুমার অধিকারী,এস,আই,আলন চন্দ্র বর্মণ,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক বলেন্দ্র নাথ, সরলকুমার রায়, শামীমা বুলবুল, খাদেমুন নবী চৌধুরী বাদল।আবিদা সুলতানা, হালুয়া মামুন,, ফয়সাল হাসানযুবনেতা দীপক রায়,,সেতাবগ্জ সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহ” প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর কবির সোহাগ, মোঃ মাহাবুবআলম প্রমুখ। বাংলা সাহিত্যের এক কালজয়ী প্রতিভা, পূর্ণতাপন্হি শিল্পী। তাঁর সৃষ্টি সম্ভারের বৈচিত্র ও ব্যাপ্তি বিশাল। তার কবিতা, গান, প্রবন্ধ,গল্প,উপন্যাস, নাটক, গীতিনাট্য, নৃত্যনাট্য, পত্রাবলী, প্রহসন, ভাষণ, ভ্রমণ কাহিনি,গদ্যকাব্য স্মৃতিকথা,চিত্রকলা ইত্যাদি বিশাল সৃষ্টি সমুদ্রের সামগ্রিক রুপ অবলোকন সহজসাধ্য নয়। কারণ এর মাধ্যমে তিনি স্বদেশ,সমাজ, মানুষ, প্রকৃতি, জীবন, জগৎ সবকিছু স্পর্শ করেছেন। কবি নিজেই বলেছেন,
” মহাবিশ্বে মহাকাশে মহাকাল মাঝে,
আমি মানব একাকী ভ্রমি বিস্ময়ে, ভ্রমি বিস্ময়ে”।
হয়তো একারণেই রবীন্দ্রনাথ এক জীবনে অসাধারণ শৈল্পিক নৈপুণ্যে বিস্ময়কর সৃষ্টির এমন বিশাল সমাবেশ ঘটাতে সক্ষম হয়েছিলেন, যা বিশ্বে খুব কম কবি সাহিত্যিকই
করতে পেরেছেন।১৮৭৮ সালে প্রথম প্রকাশিত কাব্য গ্রন্হ ‘ কবি কাহিনি ‘ থেকে মৃত্যুর পূর্ববর্তী কবির শেষ জন্মদিনে ১৯৪১ সালে প্রকাশিত কবির জীবদ্দশায় গ্রন্হিত শেষ কাব্য ‘ জন্মদিনে ‘ পর্যন্ত দীর্ঘ ছয় দশকের সৃষ্টিশীল জীবনে তিনি বাংলা সাহিত্য যেমন সমৃদ্ধ করেছেন, তেমনি বিশ্ব সাহিত্য ভাণ্ডারও করেছেন ঐশ্বর্যশালী।
সমগ্র রবীন্দ্র জীবন ও সৃষ্টি অবলোকনে এঠা মনে করা যেতে পারে যে, রবীন্দ্রনাথ তার নিরবচ্ছিন্ন
সাহিত্য সাধনা, মেধা ও শ্রমে নিজেই ক্রমাগত নিজেকে
অতিক্রম করেছেন।রবীন্দ্রনাথের সাফল্যের এই ক্রম উত্তরণ কিন্তু একদিনে ঘটেনি।একদিনে তিনি ‘ বিশ্বকবি’
বা ‘ কবিগুরু’ হয়ে উঠেননি।এর পিছনে রয়েছে তার সৃষ্টির দীর্ঘ অবিশ্রান্ত পথচলা।রবীন্দ্রনাথ কবিতার সাবলীল মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করতে গিয়ে নির্মান করেন এক সুন্দরের ভুবন— যেখানে ঝর্ণাধারা থেকে অনবরত চুঁয়ে চুঁয়ে ঝরছে মুগ্ধতার বিস্ময়। রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিশীল জীবন সাহিত্যের নানা মাধ্যমে পরিব্যাপ্ত। তার এ সৃষ্টিশীলতার বিস্তৃতি
ও বহুমাত্রিকতা এত ব্যাপক ছিল যে, সৃষ্টির প্রসব বেদনায় কাতর কবি এক সময় নিজেকে নিজে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন , ” আমি বাস্তবিক ভেবে পাইনে কোনটা আমার আসল কাজ “। সঙ্গত কারণেই রবীন্দ্রনাথ আজ
নানা জনের কাছে নানা বর্ণে বর্ণিল, নানাভাবে প্রতিভাত। ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠছেন ভস্ম থেকে। তার সাহিত্য যেমন ব্যাপক, তেমনি রহস্যময়।
তিনি আমাদের চৈতন্যে, চিন্তায়, সংস্কার ও মননে মিশে আছেন।
তাঁর মাঝে বহুমাত্রিক প্রতিভার সমন্বয় ঘটলেও তিনি নিজেকে পরিচয় করতে চেয়েছেন ‘কবি ‘
হিসেবে। শেয বয়সে বলেছিলেন , তাঁর ‘ একটিমাত্র
পরিচয় ‘ আছে, তিনি ‘ কবিমাত্র’। কিন্তু মহাকালের প্রবহমান ধারায় তিনি শুধু কবিমাত্র নন, তিনি আজ কবিগুরু বিশ্বকবি