বেশ কয়েকদিন ধরেই সারাদেশ জুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে জনজীবনে চলছে হাঁসফাঁস অবস্থা। তবে দুঃখের খবর হলো আপাতত আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসেও নেই তীব্র গরম কমার কোন খবর।
চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদেরা গ্রীষ্মের এ সময়ে সুস্থ থাকতে নানা পরামর্শ দিলেও ভ্যাপসা গরমে রোগ-বালাই এড়িয়ে সুস্থ থাকা বেশ কষ্টসাধ্য বিষয়।
অতি উচ্চ তাপমাত্রা ক্লান্তিকর এবং হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক এবং অসুস্থদের জন্য এ ঝুঁকি আরও বেশি।
গরমে ঘর যেভাবে ঠান্ডা রাখবেন
অনেক সময় বাহিরের রোদ আর গরম বাতাসে ঘরও গরম হয়ে থাকে। তখন ঘরে বসেও গরমে হাঁসফাঁস করা ছাড়া উপায় থাকে না। সেক্ষেত্রে কিছু সহজ উপায়েই ঘর বাহিরের তুলনায় ২-৩ ডিগ্রি কম ঠান্ডা রাখা যায়।
- দিনের বেলা ঘরে যেন সরাসরি সূর্যের আলো প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা করুন, জানালায় ভারী পর্দা দিয়ে রাখুন।
- বিকেলে যখন রোদ পড়ে যাবে তখন দরজা, জানালা খুলে দিয়ে বাতাস প্রবেশ করতে দিন। বাড়িতে বাতাসের চলাচলের ব্যবস্থা রাখাটা ঘর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করতে পারে।
বাহিরে গরমে যেভাবে নিজের খেয়াল রাখবেন
প্রচন্ড গরমেও অনেক সময় বাহিরে বের হতে হয়ই। কারও অফিস, কারও স্কুল বা প্রয়োজনীয় কাজ থাকেই। ঘরে বসে থাকা যায় না। সেক্ষেত্রেও গরমের মধ্যে বাহিরে বের হবার আগে কিছু কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত,
- গরমে প্রচন্ড তাপে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায় ফলে অনেক সময় শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই ঘাটতি পূরণের জন্য অতিরিক্ত তরল পানের দরকার হয়। তাই বাইরে বের হওয়ার আগে সাথে করে পানি নিয়ে বের হওয়া উচিত।
- রোদ ও তাপ থেকে বাঁচতে সবসময় সাথে ছাতা, চশমা রাখা উচিত। আর সানস্ক্রিন ব্যবহারের চেষ্টা করুন, এতে আপনার ত্বক সরাসরি রোদে পোড়ার হাত থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাবে।
- দিনের যে সময়টাতে সবচেয়ে বেশি সূর্যের তাপ বেশি থাকে, যেমন সকাল ১১টা থেকে বিকেল তিনটা- এ সময়টাতে সরাসরি তাপ এড়িয়ে চলুন। ছায়ায় থাকার চেষ্টা করুন।
- গরমে বাহিরে বের হলে হালকা, ঢিলেঢালা এবং হালকা রঙের কাপড় পরার চেষ্টা করুন। আরাম পেতে সুতি বা লিনেন কাপড়ের জামা পড়ুন, এসব কাপড় ঘাম শোষণ করে এবং বায়ু চলাচলও স্বাভাবিক রাখে।
- গরমের সময়ে বাহিরের খাবার ও অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার পরিহার করুন। এসবের বদলে হালকা এবং তাজা খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করুন। দেহে পানিশূন্যতা দূর করার একটি সহজ উপায় হচ্ছে তাজা ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়া।