ভারতের শিলংয়ে অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ট্রাভেল পাস পেয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে ভারতের গোহাটি বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে তাকে ট্রাভেল পাস দেওয়া হয়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ দেশ রূপান্তরকে জানান, ৮ জুন ইস্যু করা হলেও গত সোমবার রাতে ট্রাভেল পাস হাতে পেয়েছি। এখানে (ভারতে) কিছু আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে এখানে কিডনি ও ঘাড়ের দুটি অপারেশন হয়। এর আগে বাংলাদেশে হার্টে তিনটি রিং বাসানো হয়। ৫ বছর তিনি শিলংয়ের বাইরে যেতে পারেননি। এ কারণে চিকিৎসার ফলোআপ করাতে পারেননি। ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগও আছে। সবকিছুর ফলোআপ করাতে হবে।
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য ২০১৫ সাল থেকে ভারতের শিলংয়ে রয়েছেন। অনুপ্রবেশের দায়ে তার বিরুদ্ধে করা মামলায় খালাস পাওয়ার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে- তিনি যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারবেন।
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ।
একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। কিন্তু ওই মামলায় তিনি বেকসুর খালাস পাওয়ার পর সরকার পক্ষ আপিল করে। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় তিনি শিলং জজ কোর্ট থেকে খালাস পান। এ কারণে তার দেশে আসায় কোনো বাধা নেই।
পাসপোর্ট না থাকায় সালাহউদ্দিন আহমেদ পরে দেশে ফিরতে ট্রাভেল পারমিটের জন্য গোহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে আবেদন করেন।