বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করিমের ওপর হামলার ঘটনায় তার অনুসারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে দলে দলে নগরে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ঘটনা নগরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (১২ জুন) দুপুরের দিকে নগরের হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় ফয়জুল করিমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিনি আহত হন। এ অবস্থায় তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানান।
এদিকে চরমোনাই পীরের অনুসারীরাদের ঠেকাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে পুলিশ। এমনকি বেলতলা খেয়াঘাট আটকে দেওয়া হয়েছে।
নৌকার মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট আফজালুল করিম রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, হাতপাখার কর্মীরা লাঠিসোঁটা ও তলোয়ার নিয়ে নগরে ঢুকে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছেন।
এবিষয়ে ইসলামী আন্দোলনের মিডিয়া সেলের সদস্য কে এম শরীয়ত উল্লাহ জানান, নেতাকর্মীদের এই বিক্ষোভ দলীয় নির্দেশে হচ্ছে না। প্রার্থীর ওপর হামলার খবর শুনে তারা তাৎক্ষণিকভাবে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
হাতপাখার প্রার্থীকে মারধরের বিষয়ে রিটানিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, ২নং ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে হাতপাখার প্রার্থী দলবল নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। এ নিয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে বাদানুবাদ হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।