ডেস্ক রির্পোট: ব্রিটেন প্রবাসী সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের কলকলিয়া ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের তরুণী সোমা বেগম খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ।
নিখোঁজের তদন্ত করতে গিয়ে হত্যার অভিযোগে নিহতের স্বামী আমনান রহমানকে গ্রেফতারের পর সোমা বেগমের খুনের রহস্য জানতে পারে স্থানীয় পুলিশ।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের এক মুখপাত্র বলেছেন, স্বামী আমনান রহমান (৪৫) তাকে খুন করে মরদেহ সুটকেসের ভেতরে ঢুকিয়ে রিভার লিং নদীতে ফেলে দেয়। সোমা বেগমকে হত্যার ঘটনায় আমনান রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত সোমা জগন্নাথপুরের মামুনপুর গ্রামের মৃত ঠাকুর মিয়ার মেয়ে।
সোমা বেগমের স্বজনরা জানান, যুক্তরাজ্যে বসবাসের বৈধ কাগজপত্র ছিল না আমনানের। বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের মেয়ে সোমার সঙ্গে তার আত্মীয়তা রয়েছে। নিজে বৈধ না হওয়ায় প্রায় চার বছর আগে চুক্তি করে অন্য ব্যক্তির স্ত্রী হিসেবে কাগজপত্র দেখিয়ে সোমাকে লন্ডনে নিয়ে আসেন তিনি। লন্ডনে আসার আগে টেলিফোনে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু লন্ডনে আইনগতভাবে তাদের বিয়ে নিবন্ধনের সুযোগ ছিল না।
স্বজনরা আরও জানান, ৪৫ বছর বয়সী আমনানের সঙ্গে ২৫ বছর বয়সী সোমার দাম্পত্য জীবনে বিভিন্ন কারণে গত দুই বছর ধরে দ্বন্দ্ব বিরাজমান ছিল। বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন তিনি। কয়েক দিন ধরে তিনি সোমা নিখোঁজ বলে দাবি করতে থাকেন। পরে স্বজনদের চাপে ৩০ এপ্রিল পুলিশের কাছে সোমা নিখোঁজ বলে জানান তিনি। তদন্তে নেমে বুধবার পুলিশ তাকে সোমাকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে।