স্টাফ রিপোর্ট: সিলেটে পুলিশের বিরুদ্ধে কোর্ট হাজতে এক আসামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১০ মে) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ (২২) হত্যা মামলার ২ নং আসামী মোহাম্মদ হাসানকে নিয়ে সিলেট মহানগর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিতে আসলে এই ঘটনা ঘটে।
মোহাম্মদ হাসানের ভাই মোহাম্মদ উমেদ এই অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ (২২) হত্যা মামলার শুনানীর তারিখ ছিলো বুধবার।
এদিন মামলার ২ নং আসামী মোহাম্মদ হাসানকে কোর্ট হাজতে তার স্বজনরা খাবার দিতে চাইলে কর্তব্যরাত পুলিশ সদস্যরা তাদের কাছে টাকা দাবী করেন।
এসময় তারা দুইশত টাকা দিলেও তারা খাবার পৌছে দেন নি। এসময় আসামীর সাথে পুলিশের কথাকাটির এক পর্যায়ে উপস্থিত এসআই বাহার সহ অন্য পুলিশ সদস্যরা আসামী মোহাম্মদ হাসানকে মারধর শুরু করেন। মারধরে হাসানের মাথা ফেটে রক্ত বের হয়ে যায়। পরে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে।মোহাম্মদ হাসানের ভাই মোহাম্মদ উমেদ অভিযোগ করে বলেন, তারা টাকা দেয়ার পরও পুলিশ তার ভাইকে খাবার না দিয়ে উল্টো মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।
তবে, পুলিশের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, কোর্ট পুলিশ ইনস্পেক্টর এসআই সনজিত।
তিনি বলেন, এখানে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। আসামী প্রিজন ভ্যানে উঠতে চায়নি, পুলিশ জোর করে ভ্যানে ঊঠাতে গেলে সে ঘুষি মেরে গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে।
প্রসঙ্গত;গত বছরের ২৫ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে গাজীকালুর টিলার পাশে ছুরিকাঘাত করা হয় শাবির লোক প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদকে (২২)। তাকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ২৬ জুলাই মোহাম্মদ হাসানসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলে- কামরুল আহমদ (২৯), আবুল হোসেন (১৯) ও মোহাম্মদ হাসান (১৯)।