মাধবপুর প্রতিনিধি:: হবিগঞ্জের মাধবপুরে তালা দিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার।একটি সংঘবদ্ধ চক্র ট্রান্সফর্মারের ভেতরের মূল্যবান তামার তারের জন্য প্রতিনিয়িত চুরি করছে।গত কয়েক দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ১৫ টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে।আর গত এক বছরে শতাধিক বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে কৃষক বদু মিয়ার সেচ প্রকল্প থেকে এবং একই এলাকার কাজী মোশারফ হোসেনের দু’টি ১৫ কেভি ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে।
কয়েকেদিন আগে চৌমুহনী ইউনিয়নের হরিণখোলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ফজল মিয়া, ফরহাদ হোসেন মাস্টার ও সাইফুল ইসলামের ট্রান্সফর্মার চুরি হয়।একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে রাতের আধারে ট্রান্সফর্মার নামিয়ে ভেতর থেকে তামার তার নিয়ে বাকি সবকিছু ফেলে যাচ্ছে।
এতে গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।বিভিন্ন এলাকায় তালা লাগিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার।পুনরায় ট্রান্সফর্মার সংযোজন করতে হলে গ্রাহককে পল্লি বিদ্যুৎ অফিস থেকে ট্রান্সফর্মার কিনে আনতে হবে।
পল্লি বিদ্যুৎ মাধবপুর জোনাল অফিসের এজিএম সৈয়দ আজহারুল ইসলাম বলেন, মে মাসে উপজেলার পাটুলী, বুল্লা ও আদাঐর থেকে ৫টি ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। চোর চক্রের সদস্যরা ট্রান্সফর্মারের ভেতরের তামার তারটুকুই নিয়ে নষ্ট করছে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালামাল (যেমন-ভেতরের মূল্যবান ট্রান্সফর্মার অয়েল, মূল্যবান কোর, ট্রান্সফর্মার বডিসহ কিছু যন্ত্রপাতি), যা তারা বিক্রি করতে পারে না। পুনরায় এগুলো কোনো কাজেও লাগানো যায়না। একটি ১৫ কেভি ট্রান্সফর্মারের মূল্য ৭৯ হাজার ২৬৬ টাকা। প্রথমবার চুরি হলে অর্ধেক এবং দ্বিতীয়বার চুরি হলে ট্রান্সফর্মারের পুরো মূল্য গ্রহককে পরিশোধ করতে হয়।
পল্লি বিদ্যুৎ তেলিয়াপাড়া জোনালের এজিএম কাইজার নূর বলেন, গত এক বছরে এই এলাকা থেকে শতাধিক বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। ইদানীং ট্রান্সফর্মার চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্রান্সফর্মার রক্ষায় পুলিশসহ গ্রাহকদের আরও সচেতন হতে হবে ।
মাধবপুর থনার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ট্রান্সফর্মার চুরির সঙ্গে জড়িত মাঝিসাইল গ্রামের মুর্শেদ মিয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।