বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি:: সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরশহরের একটি ইংরেজি শিক্ষা (আইইএলটিএস কোর্স পাঠদানকারি) প্রতিষ্ঠান হলো মাস্টার মাইন্ড। গত কয়েকদিন ধরে এই প্রতিষ্ঠানের ভেতরে সংঘটিত একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তুমুল সমালোচনা। সমালোচনার মূল কেন্দ্র হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের বাথরুমে গোপন ক্যামেরা স্থাপন ও ছবি এবং ভিডিও ধারণ করাকে নিয়ে। ফলে মাস্টার মাইন্ডে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরণের ভয়-আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অভিযোগ ওঠেছে, কয়েকদিন আগে মাস্টার মাইন্ড-নামক প্রতিষ্ঠানের বাথরুমে গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে রাখেন প্রতিষ্ঠানের তৎকালীন ব্যবস্থাপক জামিল হোসেন। এই ক্যামেরায় অনেক শিক্ষার্থীর গোপন ভিডিও ধারণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
বিয়ানীবাজার পৌরশহরের প্রমথ নাথ দাস (কলেজ রোড) এলাকার ইনার কলেজ রোডে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়। প্রায় ৫-৬ বছর থেকে মাস্টার মাইন্ড পরিচালনা করছেন আতিকুর রহমান। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকও বটে। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। মাস্টার মাইন্ডে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী আইএলটিএস কোর্সে পাঠগ্রহণ করছে।
মাস্টার মাইন্ডের পরিচালক আতিকুর জানান, কিছু আপত্তিকর ছবি পাওয়ার পর ব্যবস্থাপক জামিলকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে ছবিগুলো গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা কি-না, তা তিনি বলতে পারেননি। মাস্টার মাইন্ডের শৌচাগারে ক্যামেরা লাগানোর তথ্য সঠিক নয় বলেও জানান তিনি।
বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত: ৩০টি ইংরেজি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু আছে। এগুলো তদারকির জন্য কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতাও নেই কারো কাছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে আইএলটিএস কোর্স শেষ করে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
অভিযোগ আছে, ২-১টি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা নানা আপত্তিকর কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়। নির্ধারিত ক্লাসের আগে উপস্থিত হয়ে অনেক শিক্ষার্থী প্রেম নিবেদন করে। এসব প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের আরও সচেতনতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।