এবারের পানি দিবসে প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল“পানি ও স্যানিটেশন সংকট সমাধানে ত্বরান্বিত পরিবর্তন’’
পানি যার অপর নাম জীবন বলে আমরা জানি।পৃথিবী পৃষ্ঠের ৭০ ভাগই পানি।তারপও কেন পানযোগ্য পানির এত অভাব?
বাংলাদেশ নদীমাতৃক একটি দেশ।পদ্মা, মেঘনা, যমুনা,বুড়িগঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র,শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী, আড়িয়াল খাঁ, কর্ণফুলী, কুশিয়ারা আরোও নাম না জানা অসংখ্য নদী দ্বারা বেষ্টিত আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। বর্ষাকালে নদী-নালা, খাল-বিল পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
পানির সংকট বলতে রাজধানী ঢাকার চিত্র সর্বপ্রথম ভেসে উঠে।জনবসতি পূর্ণ এই শহরে সুপেয় পানির অভাব।সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় ওয়াসার কর্মকাণ্ডে।রাজধানীতে কিছু জায়গায় পদ্মা ও কিছু জায়গায় মেঘনার পানি পিউরিফিকেশন এর মাধ্যমে পানযোগ্য করা হয়।তবুও দেখা যায় পানিতে দুর্গন্ধ, ঘোলাটে পানি।কোথাও কোথাও আয়রন। পানি থেকে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগ যেমন টাইফয়েড, কলেরা, জন্ডিস, আমাশয় ইত্যাদি রোগের প্রাদুর্ভাব ঢাকাতেই বেশি দেখা যায়। অন্যদিকে দক্ষিণ অঞ্চলে দিন দিন পানিতে লবনের মাত্রা বেড়ে পানি খাওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়ছে
আর একদিকে স্যানিটেশন ব্যবস্থা যা নিয়ে ঢাকা তথা সারা বাংলাদেশেই সমস্যা। আমাদের দেশের নগর পরিকল্পনা এতই দুর্বল যে সামান্য বৃষ্টিতে রাজধানী শহর সহ প্রধান প্রধান শহর গুলো পানিতে ডুবে যায়।বন্যার ফলে প্রতিবছর অনেক অনেক গ্রাম ডুবে যায়।ধন-সম্পদ, ফসল,গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।