সিলেট প্রতিনিধি:: সিলেটের ওসমানীনগরে অটোরিকশা চালক ব্রজেন্দ্র শব্দকর হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- হত্যা মামলার মূল আসামি মো. গুলজার আলী (২৭)। তাকে গত ১৪ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থেকে ও পরদিন শিপন মিয়াকে (২৭) সিলেটের ওসমানীনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়।মো.গুলজার আলী ওসমানীনগর উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলে ও শিপন মিয়া একই গ্রামের তাহির আলীর ছেলে।
রোববার (১৮ জুন) সিলেটে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, গত ৫ মে বিকালে ওসমানীনগর থানার লাল কৈলাস গ্রামের অটোরিকশা চালক ব্রজেন্দ্র শব্দকরের মরদেহ ওসমানীনগর থানাধীন ৪ নং বুরুঙ্গা ইউনিয়নের প্রথমপাশা গ্রামের সড়কের পাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
ব্রজেন্দ্র শব্দকরের চালিত অটোরিকশাটি চুরির উদ্দেশ্য নিয়ে গত ৮ মে রাতে বেশি টাকা ভাড়া প্রদানের আশ্বাসে গ্রেফতারকৃত আসামীরা ব্রজেন্দ্র শব্দকরের অটোরিকশায় চেপে বসেন। পরে তারা কৌশলে তাজপুর বাজার হতে বুরুঙ্গা রাস্তায় নিয়ে যায়। কিন্তু ব্রজেন্দ্র শব্দকর রাতে চোখে কম দেখায় গ্রেফতার আসামি গুলজার আলী তাজপুর বাজার থেকে রিকশাটি নিজে চালিয়ে বুরুঙ্গা নিয়ে যান। সেখানে পৌঁছার পর ব্রজেন্দ্র শব্দকর প্রস্রাব করার কথা বলে গাড়ি হতে নেমে রাস্তার দক্ষিণ পাশে প্রস্রাব করতে বসে। এ সময়ে গ্রেফতারকৃত আরেক আসাসি শিপন মিয়া পিছন দিক হতে তার সাথে নেয়া লোহার হাতুড়ি দিয়ে ব্রজেন্দ্র শব্দকরের মাথায় ৩-৪টি আঘাত করে এবং ধাক্কা দিয়ে রাস্তার নিছে ফেলে দেয়। পরে সেখান থেকে তারা রিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায় এবং সেটা বিক্রি করে তারা দুজনেই টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন।
পরদিন বিকালে ওসমানীনগর থানার লাল কৈলাশ গ্রামের অটোরিকশা চালক ব্রজেন্দ্র শব্দকরের মরদেহ ওসমানীনগর থানাধীন ৪ নং বুরুঙ্গা ইউনিয়নের প্রথমপাশা গ্রামের সড়কের পাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিনই নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-৫, তারিখ-০৭/০৫/২০২৩খ্রি: ধারা-৩০২/৩৭৯/৩৪ পেনাল কোড) দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাছুদুল আমিন বলেন, আসামী শিপন মিয়ার দেয়া তথ্যে ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র একটি লোহার হাতুড়ি ঘটনাস্থলের পাশের ঝোপ হতে জব্দ করা হয় এবং আসামী মো. গুলজার আলী আদালতে স্বেচ্ছায় নিজের দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।