ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের এক হাজার ২০০ কেজি আম উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১২ জুন) দুপুর ১২টার দিকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি গেটের নোম্যান্সল্যান্ডে এসব আমের খালাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
তবে মঙ্গলবার ভারতের এনডিটিভি, আনন্দবাজার অনলাইনসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে বলা হয়, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের জন্য ৬০০ কেজি আম পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।
এর শুরুটা হয় বাংলাদেশে প্রকাশিত সংবাদে। প্রায় সব সংবাদে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ২৪০টি কার্টনে করে ১ হাজার ২০০ কেজি হাঁড়িভাঙা আম উপহার পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ উপদূতাবাসের এক কর্মকর্তা সোমবার আমের চালানটি গ্রহণ করেন পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে। তিনি এ আমের কার্টনগুলোর একটি অংশ পৌঁছে দেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বাড়ি।
মানবজমিনের কলকাতার বিশেষ সংবাদদাতা এক প্রতিবেদনে জানান, এর মধ্যে ৬০০ কেজি আম গেছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বাড়ি। বাকি আম রাজ্যপাল ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের জন্য।
তবে তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের সেরা হিমসাগর, ল্যাংড়া, লক্ষণভোগ প্রভৃতি আম আছে এসব কার্টনে।
উল্লেখ্য, গত বছরও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও এক ট্রাক বাংলাদেশি হাঁড়িভাঙা আম পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাসস মঙ্গলবার জানিয়েছে, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আম উপহার পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ বছর হিমসাগর এবং ল্যাংড়ার মতো জনপ্রিয় জাতের আম উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে, যা মূলত রাজশাহী থেকে সংগ্রহ করা হয়। রাজশাহী অঞ্চলটি উন্নত মানের সুস্বাদু আম উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। নয়াদিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অফিসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উপহার পৌঁছে দেন।