লংগদু উপজেলা প্রতিনিধি ঃ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ধানকাটা শেষের পথে। মাড়াইকৃত ধান শুকানোর পাশাপাশি কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন গো খাদ্য সংগ্রহে। মাড়াইকৃত কাঁচা ধান গাছের অংশ বিশেষ (খড়) শুকিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় খড়ের গাদা,ভোলা বা খেড়ের ছানা দিয়ে জমা করে রাখছেন কৃষকরা। পাহাড় ও নদী মাতৃক জনপদ লংগদু উপজেলার বেশির ভাগ অঞ্চলের চারো পাশে নদী অনেক এলাকা বর্ষায় পানিতে ডুবে যাওয়ায় গো খাদ্যের বিকল্প সংস্থান হিসেবে শুকনো খড় বাড়িতে তুলে রাখেন বলে জানিয়েছেন অত্র উপজেলার কৃষকরা।
শনিবার লংগদুতে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় কৃষকদের কর্মযজ্ঞ। চৈত্র বৈশাখ মাসের প্রচন্ড তাপদাহের সময় পার করে এখন তারা পাকা ধান কেটে জমি কিংবা আঙ্গিনায় রাখা ধান গাছের কাঁচা খড় শুকাচ্ছেন কৃষকরা। দিনভর খড়ের এপীঠ-ওপীঠ শুকিয়ে কেউ কেউ জমি সংলগ্ন টিলা, আত্মীয়ের বাসা বাড়িতেও দিয়ে রাখছে ছোট বড় খেড়ের ছানা। যা একসময় বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। আবার অনেককেই দেখা যায় বাড়ির আঙ্গিনায় উৎসবের আমেজে বড় বড় খড়ের গাদা কিংবা ছানা দিয়ে রাখতে। কেউ আবার এসব খড় গোরছালা বা টিন সেটের ছাউনী বানিয়ে রাখছেন।
লংগদুরের কৃষকরা জানিয়েছেন, জমিতে ধান কাটার পর পরই খড় শুকানো নিয়ে কৃষকরা ব্যস্ত থাকেন। খড় শুকানোর মধ্য দিয়ে বৈশাখ জৈষ্ঠ মৌসুমের ইতি টানেন কৃষকরা। ধান কাটার পর পর উৎসবের ন্যায় আনন্দ উল্লাস করে খড় বাড়িতে তুলেন কৃষকরা। শুকানো খড় ঘরে তুলতে পারলে বর্ষায় গো খাদ্য নিয়ে চিন্তা করতে হয় না কৃষকদের। নতুবা বর্ষায় গো খাদ্যের সংস্থান নিয়ে বিরম্বনায় পড়তে হয় লংগদু উপজেলার কৃষক কুলের। ২০০৭ সালের বন্যা ডুবিতে গো খাদ্যের সংকট দেখা দেওয়ায় অনেক কৃষক পরিবারকে গরুছাগল বিক্রি করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। তাই এবার প্রকৃতি সহায় হওয়ায় ভালোয় ভালোয় গো খাদ্য সংগ্রহ করতে পারায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন রাংগামাটির লংগদু উপজেলার কৃষকরা।
রাংগামাটির লংগদু উপজেলার ইয়ারিং ছড়ি এলাকার কৃষক ইব্রাহিম মিয়া সহ অন্যান্য কৃষকেরা জানান, প্রকৃতি সহায় হওয়ায় কৃষকরা এবার ঘরে ধান তুলতে পেরেছেন। ধান ঘরের তুললেই বৈশাখ মৌসুমের শেষ হয় না।জমিতে রাখা কাঁচা খড় কৃষকদের দুঃচিন্তার অন্যতম কারণ। কেননা এই খরই বর্ষায় গবাদি পশুর প্রধান খাবার। তাই খড় শুকিয়ে বাড়িতে তুলতে পারলেই বৈশাখ জৈষ্ঠ্যমাসের ইতি ঘটে।








সত্যের সন্ধানে আমরা — NRD News Media Limited