বাংলাদেশের শিক্ষার্থী রাজনীতি সবসময়ই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (JU / Jahangirnagar University) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, সাধারণভাবে জাকসু (JUCSU / JAKSU) নামে পরিচিত, তার নিত্যনতুন নেতৃত্ব ঘোষণার সময় শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি বড় আলোচনা শুরু হয়: “নেতৃত্ব কোন জেলার অধীন?” — অর্থাৎ, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা অন্যান্য পদের নেতা কোন জেলার নাগরিক বা জন্মভূমি তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক প্রশ্ন সৃষ্টি করে।
বর্তমান নির্বাচন ও ফলাফল
২০২৫ সালের JUCSU নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩৩ বছর পর। রাজনীতি, ছাত্র সংগঠন এবং নির্বাচনী প্রচারণার মধ্যে ছাত্র ইউনিয়ন নির্বাচন নতুন দিক নির্দেশনার প্রতীক হিসেবে কাজ করেছে। যদিও প্রাপ্ত সংবাদের নির্দিষ্ট তথ্য নেই যে, বর্তমান জাকসু নেতৃত্বের প্রতিটি সদস্য কোন জেলা থেকে; তবে বিভিন্ন পাবলিক সোর্সে “Shibir-backed” প্রার্থীদের উল্লেখ পাওয়া গেছে যারা নির্বাচিত হয়েছেন ।
কেন জেলা পরিচয় গুরুত্বপূর্ণ?
শিক্ষার্থীদের জন্য নেতা কোন জেলার তা গুরুত্বপূর্ণ কারণ:
স্থানীয় পরিচয় ও বন্ধন: জেলা যদি তাদের নিজের হয়, তাহলে নেতৃত্ব ও শিক্ষার্থীর মধ্যে একটি মানসিক সংযোগ তৈরি হয়।
বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিত্ব: বরাবরই দাবি থাকে যে নেতা যেন দেশের সব অংশ থেকেও আসে, শুধুমাত্র বড় শহর বা রাজধানীর বাইরে থেকেও।
নিরাপত্তা ও সুযোগের বিপর্যয়: গ্রাম-শহর, জেলা-জেলা ইত্যাদির মধ্যে শিক্ষাগত সুযোগ ও রিসোর্সের বিচ্ছিন্নতা থাকে। যখন নেতা একটি বিশেষ জেলার হয়, তখন শিক্ষার্থী মনে করে যেন তাদের জেলার সুবিধা একটু কম হয়।
বর্তমানে কি জানা গেছে?
বর্তমানে ডেইলি স্টার ও ভাষ্যকার সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে যে, নতুন JUCSU নেতৃত্বে “Shomonnito Shikkharti Jote” প্যানেলের প্রার্থীরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে। এই প্যানেল প্রায় সব নির্বাচনী পোস্টে অংশগ্রহণ করেছে এবং কিছু পদের জয় পেয়েছে। তবে, কোন পদের নেতা কোন জেলা থেকে, সেই তথ্য সুনির্দিষ্টভাবে পাওয়া যায়নি। প্রচার বা নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীদের বিষয়টি হয়তো তুলে ধরা হয়েছিল, কিন্তু এখন পর্যন্ত পাবলিক রেকর্ডে সেটা স্পষ্টভাবে রয়ছে না।
ভবিষ্যতে কি আশা করা যায়?
নির্দিষ্ট জেলা ভিত্তিক ডেটা সংগ্রহ: সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর মাধ্যমে প্রার্থীদের জেলা ও জন্মস্থান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে।
নির্বাচন কমিশন / বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উত্তর: নির্বাচন কমিশন বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি প্রার্থীদের জেলার তথ্য প্রকাশ করে, তাহলে তথ্যগত স্বচ্ছতা বাড়বে।
শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও অনুসন্ধান: শিক্ষার্থীদের নিজস্ব উদ্যোগে প্রার্থীদের জেলা পরিচয় জানতে চাইতে পারে, সোশ্যাল মিডিয়া বা ক্যাম্পাস র্যালি ইত্যাদিতে তথ্য আদান প্রদান করা যেতে পারে।
উপসংহার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের বর্তমান নেতৃত্বের জেলার বিষয়টি, যদিও অনেকেই জানতে চান, এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তবে নির্বাচনী প্রচারণা ও সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট বলছে যে, বিভিন্ন জেলার প্রার্থীরা জয় লাভ করছেন এবং “Shibir-backed প্যানেল” একটি উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি দিচ্ছে। তথ্যের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পেলে শিক্ষার্থীর মধ্যে বিশ্বাস বাড়বে এবং প্রতিনিধিত্বমূলক ছাত্র রাজনীতি আরও শক্তিশালী হবে।
